বীর যোদ্ধাদের অস্ত্র ছিল মানবহাড়ের ভয়ংকর ড্যাগার!

প্রকাশের সময় : 2018-05-24 22:16:24 | প্রকাশক : Admin
�বীর যোদ্ধাদের অস্ত্র ছিল মানবহাড়ের ভয়ংকর ড্যাগার!

সিমেক ডেস্কঃ নিউ গিনির বীর যোদ্ধাদের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো সম্ভবত অন্য সবার থেকে আলদা। তারা শত্র“বধে হাড় দিয়ে প্রাণঘাতি অস্ত্র বানাতো। সেখানে শিল্পীর নিপুর হাতের কারুকাজ থাকতো। ভিন্নতর বিষয়টি হলো, মানবদেহের হাড় ব্যবহার করা হতো এসব অস্ত্র বানাতে। সম্মুখ যুদ্ধ বা হাতাহাতি টাইপের লড়াইয়ের জন্যে এগুলো ছিল মারাত্মক অস্ত্র।

তবে এসব হাড় আরো অন্যান্য উৎস থেকেও সংগ্রহ করা হতো। যেমন- উড়তে পারে না এমন শক্তিশালী পাখির পায়ের হাড় দিয়ে বানানো হতো অস্ত্র। একে বলা হতো 'ক্যাসোওয়ারি'। আর বেছে নেওয়া হতো তাদের পূর্বপুরুষদের দেহের হাড়।

রয়ার সোসাইটি ওপেন সায়েন্স এর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়, মানবদেহের শক্ত হাড় দিয়ে ড্যাগার বানাতো তারা। এই ছুরিগুলো রীতিমতো মারণাস্ত্র ছিল। বীর যোদ্ধারা সাধারণত পূর্বপুরুষের উরুর হাড় বেছে নিতেন। বিশেষ করে যারা আগের যুদ্ধগুলোতে নিজেদের বীরত্ব দেখিয়েছেন তাদের হাড় দিয়ে বানানো হতো এসব অস্ত্র। গবেষক এবং নৃবিজ্ঞানী পল রসকো এসব তথ্য জানান।

রসকো বলেন, আধ্যাত্মবাদে আচ্ছন্ন হয়ে তারা এসব অস্ত্র বানাতো। যেমন- কোনো বীর তার বাবার হাড় দিয়ে ড্যাগার বানিয়েছেন। এর অর্থ, বাবার ছায়া সব সময় তার ওপর রয়েছে বলে বিশ্বাস ছিল তার। আবার যুদ্ধে তিনি বাবাকে সঙ্গে নিয়েই যাচ্ছেন।

নিউ গিনির সেপিক অঞ্চলে এই তো ১৯৭০ এর দশকেও পুরুষরা হাড়ের ড্যাগার দিয়ে নিজেদের সজ্জিত করতো। এসব দিয়েই আশপাশের বিরোধী দলের সঙ্গে যুদ্ধ করতো তারা। ওঁৎ পেতে বসে শত্র“র ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তেও তারা এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতো। কিছুটা দূর থেকে বর্শা আর তীর ছুড়ে আক্রমণের শুরু হতো। আর হাতাহাতি লড়াইয়ে এসব হাড়ের ড্যাগার দিয়ে চলতো আক্রমণ। হাড়ের ড্যাগারগুলো অস্ত্র তো বটেই, নিজের অঙ্গশোভা বৃদ্ধির কাজেও ব্যবহৃত হতো।

বিশেষ করে পূর্বপুরুষের হাড় দিয়ে বানানো অস্ত্রে নানা কারুকার্য অতি যতেœর সঙ্গে করা হতো।

এ গবেষণার প্রধান বায়োলজিক্যাল নৃবিজ্ঞানী নাথানিয়েল ডোমিনি প্রথম মানবহাড়ের তৈরি এমন অনেকগুলো ড্যাগার পান একটি ড্রয়ারে। ওগুলো মিলেছিল নিউ গিনিতে। তখন তিনি আমেরিকার ডার্থমাউথ কলেজের হুড মিউজিয়াম অব আর্টের নৃবিজ্ঞানের প্রফেসর ছিলেন। পরে এগুলো নিয়ে গবেষণা করতেই বেরিয়ে আসে বিস্ময়কর সব তথ্য।

যারা এসব অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করতেন তারা ঠিকই বুঝেছিলেন যে কৌশলগত দিক থেকে ক্যাসোওয়ারির চেয়ে মানুষের উরুর হাড় দিয়ে ড্যাগার কোনো অংশে কম নয়। কিছুটা বাঁকানো হাড়গুলো সত্যিই ভয়ংকর অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে।

অন্যান্য উপাদানে তৈরি ছুরির চেয়ে হাড়ের ড্যাগারগুলো অনেক বেশি মূল্যবান। এগুলো ভেঙে গেলেও তা স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষিত হতো। জীবনে পূর্বপুরুষদের ছায়া হিসেবে অলংকৃত হতো বাসার দেয়ালে বা দেহে।    -সূত্রঃ সিএনএন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com