কফি পানের কিছু উপকারিতা ও ঝুঁকি
প্রকাশের সময় : 2019-10-24 12:44:18 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্ক: আড্ডা দেওয়ার সময়, ক্লান্তিবোধ থেকে মুক্তি পেতে কিংবা কাজের ফাঁকে ঘুম তাড়াতে চা বা কফির জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া, আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তত চার, পাঁচ বার চা বা কফি তো থাকবেই! অনেকেই আছেন যারা তাদের দিনই শুরু করেন বেড টি বা কফি দিয়ে। তাই মানুষের মেজাজ পরিবর্তনে যে এগুলির ভূমিকা অন্যতম তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিশ্বব্যাপী অত্যধিক জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে 'কফি' হল অন্যতম। 'কফি বীজ' নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুড়ো মিশিয়ে কফি তৈরি করা হয়। এই বীজ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। সবুজ কফি বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের মধ্যে একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ থাকে। ৮ আউন্স কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। কফির মূল উপাদান ক্যাফেইনের জন্য কফি মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিক্রিত পণ্য। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কফি লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ক্যান্সার রোধ করে। এছাড়াও, আমাদের মানসিকভাবে সতেজ রাখে। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। গবেষকদের মতে, প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ কফি পান করা হলে আমাদের কিছু শারীরিক সমস্যার কমতে পারে।
কফি পানের উপকারিতাঃ
হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। করোনারি অ্যাস্টিরি রোগের ঝুঁকি কমায়। ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়। লিভার সেরোসিসের ঝুঁকি কমায়। ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমায়। ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। কফি পান করলে সতেজ অনুভূতি হয়। কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে।
কফি পানের ঝুঁকিঃ সবকিছুরই যেমন ভালো দিক আছে তেমন আবার খারাপ দিকও আছে। কফি পানের উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু ঝুঁকিও দেখা যায়। যারা খুব বেশি কফি পান করেন তাদের ক্ষেত্রে কফি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া, খালিপেটে কফি খেলে বমি হতে পারে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। বাড়ে মাথাব্যাথা। ঘুমের ব্যাঘাত হয়। বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। বাড়ে স্নায়ুবিকতা এবং উদ্বেগ। অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন বা উচ্চ রক্ত চাপের আশঙ্কা বাড়ায়। হরমোন ক্ষরণে ব্যাঘাত ঘটায় - সূত্রঃ অনলাইন