দুশ্চিন্তা দূর করুন সহজেই
প্রকাশের সময় : 2019-10-24 12:46:14 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ একজন মানুষের চিন্তা শক্তি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন আসে তখনি যখন কেউ কোন বিষয়ে অত্যাধিক পরিমানে চিন্তায় আসক্ত হয়ে পরে। কোনভাবেই রেহাই পায় না ঠিক তখনি সেটা হয়ে যায় দুশ্চিন্তা। দুশ্চিন্তার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর বলেছেন- “দুশ্চিন্তা হল এমন এক চিন্তা যা থেকে মানুষ কিছুতেই রেহাই পায় না, দুশ্চিন্তা কঠিন ধাতব মানুষকেও অসুস্থ করতে পারে”
দুশ্চিন্তা যেমন করে স্বাস্থ্যহানি ঘটায় তেমনি করেই এটি মনের ভিতর বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। দুশ্চিন্তার কারনে প্রধান যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তা হল অনিদ্রা বা নিদ্রাহীনতা। এছাড়াও একজন মানুষের ভয়, হতাশা, উদ্যেগ, ঘৃণা, তিক্ততার প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এই দুশ্চিন্তা।
অনেকেই মনে করে থাকেন যে, ভয় থেকেই দুশ্চিন্তা আসে। দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ স্নায়ুর বিকৃতি ঘটায় এবং পাকস্থলীর স্নায়ুর অনেক ক্ষতি করে থাকে এর ফলে পাচক রসে বিকৃতি ঘটে শেষ পর্যন্ত তা আলসারে রূপান্তরিত হয়।
ডাঃ আলেক্সিস ক্যারেল বলেছেন “যে মানুষ দুশ্চিন্তা কিভাবে দূর করতে হয় তা জানে না, তাদের অল্প বয়সেই মৃত্যু হয়”।
প্রধানত ৩ টি ধাপ অনুসরণ করে আমরা আমাদের দুশ্চিন্তা সহজেই দূর করতে পারিঃ-
১ম ধাপঃ সমস্ত ব্যপারটা বুঝে নেয়াঃ
দুশিন্তার প্রধান কারন হল এলোমেলো ভাবনা। পৃথিবীতে অর্ধেক দুশ্চিন্তা তাদেরই হয় যারা জানেনা যে আসল ব্যপারটা কিভাবে সামাধান করতে হয়। ব্যপারটা ভালভাবে না জানলে অথবা না বুঝলে আমাদের মাথায় সেটা ঘুরপাক খেতে থাকবে। তাই এলোমেলো ভাবনা মন থেকে দূর করে দিতে হবে।
২য় ধাপঃ ঘটনার বিশ্লেষণ-
দ্বিতীয় ধাপে আমাদের ঘটনাটির বিশ্লে−ষণ করতে হবে যে ঘটনা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তা করছি। এটা নিয়ে চিন্তা করে আমি কি করতে পারি?
৩য় ধাপঃ সিদ্ধান্তে পৌঁছানো এবং সে অনুযায়ী কাজ করা। আপনি যদি দুশ্চিন্তার বিষয়টা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে আসতে পারেন তাহলেই আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবে যদি আপনি আপনার সিদ্ধান্তকে কাজে লাগাতে পারেন। পিছনে তাকাবেন না বরং দুশ্চিন্তা বিশ্লেষণ করে সোজাসুজি তার মুখোমুখি হন। এছাড়া আপনার মুক্তির কোন পথ নেই। - সূত্রঃ অনলাইন