সম্প্রীতির পথে হাতে হাত ফাদার-পুরোহিত-ইমাম
প্রকাশের সময় : 2020-01-01 12:29:00 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ সম্প্রীতির বার্তা দিতে সব ধর্মের মানুষ এক হয়েছে। হয়েছে এক কাতারে শামিল। হাতে হাত ধরে প্রকাশ্য রাস্তায় বেরিয়েছে জাতি এবং দেশ রক্ষার জন্যে। এটা ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদ সৃষ্টি করা ধর্মীয় জাতিগত আন্দোলন নয়। হাজার বছরের কৃষ্টি ও কালচারের আবহে গড়া রাষ্ট্রীয় জাতি সত্বা রক্ষার আন্দোলন। এ আন্দোলনে প্রমাণ হলো জাতি শুধু ধর্মের ভিত্তিতে হয় না; রাষ্ট্রের ভিত্তিতেও হয়। প্রমাণ হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কোন বিকল্প নেই।
ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ-সহিংসতার মাঝে সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা দিতে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের মোথাবাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলে হাতে হাত মিলিয়ে হাঁটলেন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত ও গির্জার ফাদার। তাদের সঙ্গে জাতীয় পতাকা নিয়ে কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে পা মেলালেন মোথাবাড়ির বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন।
বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে জোরদার ছিল পুলিশি নিরাপত্তা। নতুন ওই আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছিলেন, বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মিছিল হবে। তার এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মিছিল বের করে তৃণমূলের মোথাবাড়ি বিধানসভা কমিটি। মিছিলে ছিল সম্প্রীতির আবহ। প্রতিবাদ মিছিলের সামনে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটেন সাবিনা ইয়াসমিন।
তার পাশেই হাতে হাত ধরে হাঁটেন মোথাবাড়ি চৌরঙ্গি মসজিদের ইমাম মাওলানা ফারমান আলি, বৈষ্ণবনগর চার্চের ফাদার অ্যালেক্স মিনজ ও ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়া এলাকার দু’টি কালীমন্দিরের পুরোহিত প্রদীপকুমার পাণ্ডে ও সঞ্জয় ঝাঁ। প্রতিবাদ মিছিল প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে মোথাবাড়ি বিধানসভা এলাকার অচিনতলায় শেষ হয়।
মাওলানা ফারমান বলেন, নতুন আইন ঘিরে মানুষের মনে সংশয় ছড়িয়েছে। অনেকের প্রশ্ন, তারা এ দেশে থাকতে পারবেন কিনা। কিন্তু এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা হচ্ছে। সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। সম্প্রীতির বার্তা দিতেই আমরা সকলে হাতে হাত ধরে মিছিলে হাঁটলাম। - সূত্রঃ আনন্দবাজার