বিদেশে প্রশিক্ষণ নিন কীভাবে হাগতে-মুততে হয়!

প্রকাশের সময় : 2020-01-29 14:35:16 | প্রকাশক : Administration
বিদেশে প্রশিক্ষণ নিন কীভাবে হাগতে-মুততে হয়!

মাসুদ রানাঃ কতো না তুচ্ছ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আপনারা বিদেশে যান। তাতে দেশের কী উদ্ধার হয়েছে বলতে পারেন? বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে যদি দেশের উদ্ধার করতে চান, আমি বলবো, আপনাদের উচিত কীভাবে হাগতে ও মুততে হয়, তার প্রশিক্ষণ নিতে কোনো একটি সভ্য দেশে যাওয়া। কারণ অতি গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রাকৃতিক কর্ম মোটেও সভ্যতার সঙ্গে সম্পাদিত হয় না আপনার দেশে। আর এটি প্রতীয়মান হয় রাস্তাঘাটে এই প্রাকৃতিক ক্রিয়ার গণউৎপাদন দেখলে।

ভদ্রলোকেরা কি আমার ব্যবহৃত ‘হাগতে’ ও ‘মুততে’ শব্দ দেখে অস্বস্তিতে ভুগছেন? ‘হাগ্’ ও ‘মুৎ’ ছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রাকৃতিক কর্মদ্বয় বোঝাতে আর কোনো মৌলিক বাংলা ধাতু আছে, বলতে পারেন কি? আমি মনে করি ‘হাগ্’ ও ‘মুৎ’ হচ্ছে চমৎকার দুটি ধাতু, যার সঙ্গে অতিরিক্ত কোনো ক্রিয়া যোগ না করে কেবল পুরুষ ও কাল অনুসারে প্রত্যয় যোগ করে ব্যবহার করা যায়। যেখানে আমরা সাশ্রয়ে ‘হাগুন’ বা ‘মুতুন’ বলতে পারি সেখানে কেন ‘পায়খানা করুন’, ‘প্রস্রাব করুন’ কিংবা ‘টয়েলট করুন’ বা ‘বাথরুম করুন’ বলবো? মনে রাখবেন, যৌগিক ক্রিয়ার চেয়ে মৌলিক ক্রিয়ার সংখ্যাধিক্য একটি ভাষার অন্তর্নিহিত শক্তির সূচক।

গত অক্টোবরে ঢাকা এবং ডিসেম্বরে কলকাতা গিয়ে রাস্তাঘাটে বেশুমার আবর্জনা, বিপুল মলমূত্র, অসহ্য দুর্গন্ধ ও বাঙালি মানুষের বন্য আচরণ প্রত্যক্ষ করে আমার মনে প্রশ্ন জেগেছে বাঙালি জাতি কি আদৌ সভ্য হয়েছে? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিন্দুত্ববাদী হয়েও একবার বলেছিলেন, দেশে মন্দিরের চেয়ে শৌচালয় নির্মাণ করা অনেক বেশি জরুরি। বুজুর্গদের কাছে বেহেশত ও দোজখের যে বিবরণ শুনেছি, তাতে আমি দোজখের সঙ্গে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠের বাংলাদেশের, আর কাফির- সংখ্যাগরিষ্ঠের সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বেহেশেতের মিল লক্ষ্য করেছি। অথচ এই সিঙ্গাপুর একসময় বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত একটি জেলে-বন্দর ছিল। ইসলাম বলে, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ’। যদি তাই হয়, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, বাড়িঘর ও লোকজন এতো অপরিষ্কার, নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত কেন? এটিও কি ইহুদি-ষড়যন্ত্র?

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com