তিন খাতে ভর করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি
প্রকাশের সময় : 2020-10-14 16:11:51 | প্রকাশক : Administration
এম এম মাসুদঃ করোনাভাইরাসের মহামারি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ইতিমধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ঘুরে দাঁড়াতে যে সব সূচক নিয়ামক হিসেবে কাজ করে সেগুলো ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিটেন্স। এর পরেই রয়েছে পোশাক শ্রমিকদের ঘাম ঝরানো রপ্তানি আয়। এ ছাড়া রয়েছে দেশের কৃষি খাত ও শেয়ারবাজার।
কৃষিপণ্যের উৎপাদন বেশ ভালো হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স প্রবাহ, শেয়ারবাজার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভসহ বেশ কিছু সূচক করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে আগের ধারায় ফিরেছে। এ ছাড়া মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬.৮ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে করোনাভাইরাসের মধ্যেও গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২৪% অর্জন হয়েছে।
সেই সঙ্গে দেশের মাথাপিছু আয়ও ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে ২ হাজার ৬৪ ডলারে উঠেছে। করোনার মধ্যে রেমিটেন্স আসার ক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছে। করোনার মধ্যে আমদানি-রপ্তানি খাতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই করোনাকালে সুবাতাস বইছে শেয়ারবাজারেও। দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মূল্য সূচকও ৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
ছোট-বড় ব্যবসায়ী যারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন, তাদের শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরছে। আইএমএফের হিসেবে শুধু বাংলাদেশ, ভারত, চীনের মতো অল্প ক’টি দেশ প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখছে। ট্রেডিং ইকোনমিকস নামের একটা সাইট বলছে ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৮.৫ শতাংশ।
এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন আনুযায়ী মহামারি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এক্ষেত্রে দেশটিকে আশা দেখাচ্ছে মূল রপ্তানি পণ্য পোশাক খাত ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। চলতি বছর দেশে ৩৮.৩ মিলিয়ন ধান উৎপাদন হয়েছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৩৬.৩ মিলিয়ন টন। এই বছর ২ মিলিয়ন টন বেশি উৎপাদন হয়েছে। গত জুলাই মাসে ৩০০ কোটি ডলার এবং গত আগস্ট মাসে আয় হয়েছে ৩৩৬.৩৩ কোটি ডলার। এটি ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ বেটার অবস্থানে রয়েছে। পোশাক খাতে বাতিল হওয়া ৩১৮ কোটি ডলারের ক্রয় আদেশের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই ফিরে পাওয়া গেছে। এ ছাড়া প্রবাসী আয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। করোনার এই সময়ে প্রতিদিনই প্রবাসীরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন।