মাত্র তিন মাসে ৬.৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স
প্রকাশের সময় : 2020-10-14 16:12:27 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে করোনার চলমান সঙ্কটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসেবে যা দেশের ইতিহাসে এযাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স। এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিটেন্স এসেছিল চলতি বছরের জুলাইয়ে। ওই মাসে রেমিটেন্স আসে ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
এদিকে চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিটেন্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় রেমিটেন্স এসেছিল ৪৫২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। মহামারীর প্রভাবে গত এপ্রিলে রেমিটেন্স কমলেও তারপর থেকে রেমিটেন্সে চলছে ঊর্ধ্বগতির ধারা। কোরবানির ঈদের পর রেমিটেন্স কমবে বলে ধারণা করা হলেও তা বরং বাড়ছেই।
রেমিটেন্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমকি ১১ বিলিয়ন ডলার।
জানা গেছে, গত অর্থবছর রেমিটেন্সের ওপর ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরেও রেমিটেন্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে থাকে।
রেমিটেন্স আরও বাড়বে। রেমিটেন্সে ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বেড়ে যাবে। মূলত রেমিটেন্সের উপর ভর করেই আমাদের রিজার্ভে একটার পর একটা রেকর্ড হচ্ছে।