যে কারণে পরাজিত হলেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : 2020-11-26 11:56:33 | প্রকাশক : Administration
যে কারণে পরাজিত হলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত হলেও ইতিহাস হয়ে থাকবেন তার ব্যক্তিগত আচরণ, কথা বলার ধরন এবং উপর্যুপরি মিথ্যা তথ্যের জন্য। রিপাবলিকান এই নেতা যতটা না রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হেড়েছেন, তার চেয়েও বড় কারণ তার ব্যক্তিগত ত্রুটি। ভোটে অনিয়ম নিয়ে তার করা মামলাগুলো একের পর এক খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতে এ নিয়ে ট্রাম্পের ব্যাপক গাফিলতি তার পরাজয়ের বড় কারণ। এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বব্যাপী মহামারি সৃষ্টি করা ভাইরাসকে গুরুত্ব না দেওয়া, মাস্ক পরিধানে অনীহা, নিজের করোনা সংক্রমণ নিয়ে নাটকীয়তা, করোনা নিয়ে অজস্র ভুল পরামর্শ। এ কারণে অনেকে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের পরিবার কখনও ট্রাম্পকে ক্ষমা করতে পারবে না।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তিরিক্ষি মেজাজ, দুর্ব্যবহার, অশোভন অঙ্গভঙ্গিও অনেক ভোটারের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া তার সাম্প্রদায়িক ও বর্ণবাদী মনোভাব এবং মানুষকে অবমূল্যায়ন করাও কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নির্বাচনে। অভিবাসী নীতি আরও কঠোর করার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পৃথিবীব্যাপী যে রাষ্ট্রের পরিচয় অভিবাসী দেশ হিসেবে, সেখানে তিনি অভিবাসীদের আগমন নানাভাবে রুদ্ধ করতে চাইছিলেন। জনতা এখন রাজনীতিতে তার পথ অবরুদ্ধ করে দিয়েছে। তিনি অভিবাসীদের বিদায় করতে চেয়েছিলেন। এখন জনগণ তাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করে দিয়েছে। দেশটির অধিকাংশ প্রভাবশালী গণমাধ্যমকে ‘ভুয়া খবর’ আখ্যা দিয়ে ঢালাও অভিযোগ করতেন ট্রাম্প। ফলে এসব গণমাধ্যমও তাকে স্বস্তি দেয়নি।

ট্রাম্প কখনও সঠিক আয়কর প্রদান করেননি। মিথ্যা বলেছেন হাসিমুখে। এমন একজন অনৈতিক মানুষকে বোধসম্পন্ন মানুষের প্রত্যাখ্যান করারই কথা। মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করা পাঁচ শতাধিক শিশু নিখোঁজ রয়েছে ট্রাম্পের মেক্সিকোবিরোধী মনোভাবের কারণে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির কারণে বিভিন্ন শহর বা রাজ্যে পুলিশের মধ্যে দাম্ভিক ও নির্দয় আচরণ বেড়ে গিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্ত সংলগ্ন দেশেই রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেন। যারা জীবন বাজি রেখে এই দেশে আশ্রয় গ্রহণের জন্য আসে, তাদের জন্য বিষয়টি যে কতটা মর্মান্তিক, তা বলে বোঝানো যাবে না। পারিবারিক ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার চিন্তা করছিলেন তিনি। কিছু নির্দিষ্ট দেশকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছেন তিনি।

এমন অমানবিক নীতির কারণে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তার বিরুদ্ধে জনমত গঠনে ভূমিকা রেখেছে। নতুন রোগীদের ফ্রি চিকিৎসাসেবা (মেডিকেড) বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি ওবামা কেয়ার বন্ধ করেছেন। অল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকারি চিকিৎসা যে কতটা উপকারী, তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। তবে ট্রাম্পের প্রতি শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের জোরালো সমর্থন অটুট ছিল।

শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের এলাকা বা অঙ্গরাজ্যগুলোতে তার পক্ষেই ভোট পড়েছে। দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে মিশিগান, নেভাদা, উইসকনসিন রাজ্যে এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সুবিধা করতে পারেননি। এখানে বাইডেন সমর্থন পেয়ে যান ভোটারদের। দেশটির মানুষের অনেক আশা এখন সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে। -সূত্রঃ সমকাল

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com