বঙ্গবন্ধু টানেলের দ্বিতীয় টিউব প্রতিস্থাপন
প্রকাশের সময় : 2020-12-09 15:33:15 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেলের প্রথম টিউব স্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর এখন প্রস্তুতি চলছে দ্বিতীয় টিউব প্রতিস্থাপনের কাজ। ইতোমধ্যে এই টানেলে ৫৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। খুব শীঘ্রই দ্বিতীয় টিউব প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য, চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউব নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা পয়েন্ট পর্যন্ত এই টানেল নির্মিত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের কর্মযজ্ঞ এটিই প্রথম। এই টানেলে মোট দৈর্ঘ্য হবে ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার। নদীর তলদেশ দিয়ে যে প্রধান অংশটি হবে তার দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় ৭৪০ মিটার সেতুর পাশে ৪ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার সড়কও নির্মিত হচ্ছে।
চীনের সাংহাই শহরের আদলে এই টানেল চালু হওয়ার পর বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হবে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’। চট্টগ্রামে পতেঙ্গা পয়েন্ট ও কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা পয়েন্ট যুক্ত হবে এই টানেলের মাধ্যমে। সরকারের এটি একটি মেগাপ্রকল্প। প্রকল্পের একটি লেনের বোরিংয়ের সঙ্গে রিং প্রতিস্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে গত ২ আগস্ট। ফলে ইতোমধ্যে টানেল পূর্ব ও পশ্চিমকে সংযুক্ত করেছে।
বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতির মাঝেও বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের কাজ একদিনের জন্যও থামেনি। এ প্রকল্পের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে চীনের একঝাঁক বিশেষজ্ঞ। এছাড়া সিঙ্গাপুর, ইতালি, রাশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার কিছু বিশেষজ্ঞও কাজ করছেন এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ২১৯ চীনা নাগরিক কাজ করছেন। এছাড়া দেশীয় কর্মকর্তা ও শ্রমিক রয়েছে প্রায় সাড়ে ৫শ’।
সবকিছু ঠিকঠাক মতো এগিয়ে গেলে আগামী ২০২২ সাল নাগাদ এ টানেল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। চীনের এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। অবশিষ্ট টাকা দেবে সরকার। -সূত্রঃ জনকণ্ঠ