স্বপ্ন হলো সত্যি; যুক্ত হলো পদ্মার দুই পাড়
প্রকাশের সময় : 2020-12-27 17:18:21 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ স্বপ্ন সত্যি হলো। দিনের আলোয় চোখের সামনে ধরা দিল পদ্মা সেতু। বহুল কাঙ্খিত এই সেতুর সর্বশেষ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পুরোপুরি দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মাসেতু। ফলে, যুক্ত হয়ে গেল পদ্মার দুই পাড়। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের দুই খণ্ডাংশের সংযুক্তিতে আনন্দে উদ্বেল পদ্মার দুই তীরের মানুষ। ইতিহাসে এই প্রথমবার সংযুক্ত হলো গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র প্লাবন সমভূমির উত্তর ও দক্ষিণাংশ।
এই প্রথমবারের মতো দুই মহানদীর যৌথপ্রবাহের উপর দৃশ্যমান হলো সেতুর অবকাঠামো। নিজেদের উচ্ছাস প্রকাশে অকৃপণ নদী তীরবর্তী ও মধ্য-দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ। তারা বলছেন, দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারছেন না।
পদ্মাসেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নতুন মাত্রা নেবে। পদ্মাসেতুকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে দক্ষিণাঞ্চলের পদ্মাসেতু সংলগ্ন এলাকা মাদারীপুরের শিবচরের মানুষ। পিছিয়ে পড়া জনপদের উন্নয়নের সাথে সাথে বাড়বে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে এই অঞ্চল। আর এই জন্যই পদ্মাসেতুকে ঘিরে এতো স্বপ্ন এবং উচ্ছ্বাস মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার মানুষের মধ্যে।
পদ্মাসেতুর একপ্রান্ত শরিয়তপুরের জাজিরা এবং মাদারীপুরের শিবচরে সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলগামী পরিবহন সেতু পার হয়ে জাজিরা প্রান্তে নেমে শিবচরের উপর দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে যাবে। আর এই পদ্মাসেতুকে ঘিরেই এই সকল অঞ্চলের অবহেলিত জনপদে এখন উজ্জ্বল সম্ভাবনা। প্রত্যন্ত জনপদে গত ১৫ বছর আগেও যেখানে ছিল না কোন রাস্তা, কাঁদামাটি-পানি পেরিয়ে ঘরে ফিরতে হতো সাধারণ মানুষের, জরুরী প্রয়োজনে কোথাও তরিৎগতিতে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা ছিল না সেই সকল এলাকাতে এখন দেশের অন্যতম সড়কের ছোঁয়া!
রাস্তাঘাট হওয়ার সাথে সাথেই হাট-বাজার, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়ে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে এখন শহুরে স্পর্শ। জীবন-মানের রাতারাতি এই পরিবর্তনে বিস্মিত এই সকল এলাকার মানুষ। অভিভূত এবং আনন্দিত। বিশেষ করে পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাতারাতি পাল্টে যেতে থাকে মাদারীপুর জেলার শিবচরসহ আশেপাশের এলাকার চিত্র।
শিমুলিয়া ঘাটের চা বিক্রেতা আমেনা বেগম বলেন, ‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবে পরিণত হওয়ায় আমি অনেক খুশি। প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন পুরণ করায় তার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ট্রলার চালক জলিল বলেন, পদ্মা সেতু সম্পন্ন হলে নৌপথে যাত্রী চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তবুও আমরা খুশি। সেতু হওয়ার কারণে আমাদের এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে। খুব সহজেই দক্ষিণ থেকে আসা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্য আমরা পাবো।