বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাত

প্রকাশের সময় : 2021-01-07 11:38:40 | প্রকাশক : Administration
বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাত

ফিরোজ মান্নাঃ তথ্যপ্রযুক্তি খাত এখন বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে। দেশে তৈরি হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি পণ্য বিদেশে রফতানির হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশে গত দুই বছরে এ খাত থেকে দেড় বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় এসেছে। নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে আমেরিকাসহ কয়েকটি দেশে মোবাইল ও ল্যাপটপ রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

বিশ্বের ১৮০টি দেশে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রফতানির বাজার তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে আউটসোর্সিংয়ে তরুণরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। এখন ভারতের কাছাকাছি টাকায় তরুণ প্রজন্ম আউটসোর্সিংয়ের কাজ পাচ্ছেন। ফলে এই সেক্টরের ভবিষ্যত অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

দেশের ৬০ ব্যাংকের মধ্যে ২৭ ব্যাংকেই দেশি সফটওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের সফটওয়্যার খাতে বেশি চাহিদা রয়েছে ইআরপি, বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশন তৈরিসহ ডিজিটালাইজেশনের কাজে ব্যবহৃত সফটওয়্যার। দেশের বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এখন সফটওয়্যার নির্মাতারা বিদেশেও রফতানি করছে।

তৈরি পোশাক যেমন ধীরে ধীরে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় একটি খাত হিসাবে বেড়ে উঠেছে। একইভাবে তথ্য প্রযুক্তি খাত এগিয়ে যাচ্ছে। একদিন এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় উৎস হবে। ২০২১ সালে আমরা এই শিল্পের প্রথম ধাপটি পার করব। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। ২০৪১ সালের মধ্যে এই সেক্টর থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের চেয়ে অনেক বেশি আয় হবে।

আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত দেশী সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। বিদেশী সফটওয়্যারের জায়গায় দেশি সফটওয়্যার প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। আমাদের দেশের সফটওয়্যার আয়ারল্যান্ডের পুলিশ ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, সুইডেন, হল্যান্ড, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের ৭০ থেকে ৮০টি দেশে তরুণরা আউটসোর্সিং করছে।

ডিজিটাল মেলায় ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক প্রর্দশন হয়েছে। ফাইভ-জি এলে ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সব সেক্টরে বড় ধরনের উন্নয়ন ঘটবে। তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরটি নিঃসন্দেহে সম্ভাবনার একটি বিষয়। কারণ এই সেক্টরের ভবিষ্যত অনেক বেশি আশা জাগায়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে এটা একটা বড় ক্ষেত্র।

এখান থেকে তারা আয় রোজগার করতে পারবে। তবে সেবার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা যেমন বাড়ছে তেমনি তৈরি হচ্ছে নানা চ্যালেঞ্জ। বেসিস, বাক্যসহ দেশে দেড় হাজার আইটি ও আইটিইএস কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের পাঁচশ কোম্পানি রফতানিতে রয়েছে। শুধু বেসিসে এক হাজারের বেশি সদস্য কোম্পানি রয়েছে।

দেশে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে রফতানি ২০১৮ সালে ১ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। টাকার হিসেবে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। সরকারের টার্গেট বা লক্ষ্য ছিল, ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন রফতানি আয় করা। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার ও সেবাপণ্য রফতানি করা।

সফটওয়্যার রফতানিতে ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়াসহ, এ খাতের উন্নয়নে নেয়া নানা পদক্ষেপের কারণে ২০১৮ সালে সফটওয়্যার রফতানি বেড়েছে। গত দুই বছরে এ খাতে আয় বেড়ে দেড় বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। শুরুতে তথ্যপ্রযুক্তি খাত নিয়ে মানুষের মনে এক ধরনের নেতিবাচক মনোভাব কাজ করত। এখন আর সেই নেতিবাচক ধারণাটি নেই। দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া উন্নত বিশ্বের সঙ্গে একসঙ্গে চলা যাবে না। এ কারণেই এ খাত থেকে এক বিলিয়ন ডলারের রফতানি করা সম্ভব হয়েছে। এখনো হয়তো কেউ বিশ্বাস করতে চাইবে না, ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের বিষয়টি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রফতানি মানে শুধু সফটওয়্যারে মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

বাংলাদেশ হার্ডওয়্যারেও উন্নতি করছে। ভারত, চীন ও ইউরোপের দেশগুলোর পাশাপাশি এখন ফিলিপাইন, পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। তবে দেশে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com