‘আদর্শ মানুষ’ খ্যাত ১০ টাকার ডাক্তার
প্রকাশের সময় : 2018-06-27 19:48:26 | প্রকাশক : Admin
সিমেক ডেস্কঃ হামু ডাক্তার টানা ২৩ বছর মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানও ছিলেন। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মানবকল্যাণে ১০ টাকায় চিকিৎসা দিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। তবে এতো জনপ্রিয়তা পেলেও কখনো কোনো রাজনৈতিক দলে নাম লেখাননি হামু ডাক্তার।
আদর্শবান মানুষ হিসেবে উদাহরণ তৈরি করার মতো একজন ছিলেন তিনি। এলাকাবাসীরা জানায়, এলাকার আদর্শ মানুষ হিসেবে ব্যাপক সুনাম ছিল হামু ডাক্তারের।
বরুইপাড়া ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইদবার আলী বলেন, চেয়ারম্যান জীবন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত উনাকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে চিনে এলাকার সবাই। আমার চোখে দেখা শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি তিনি।
কুষ্টিয়ার মিরপুরের ‘১০ টাকার ডাক্তার’ হিসেবে পরিচিত আলহাজ্ব ডাঃ আব্দুল হামিদ ওরফে হামু ডাক্তার চলে গেলেন কিছুদিন হলো। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন হামু ডাক্তার। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্যা গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
12.4
মহেশখালী; ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’
ফিরোজ মান্নাঃ চারদিকে জলরাশি, মাঝখানে ছোট ভূখন্ড। নাম মহেশখালী। পান চাষের জন্য এই দ্বীপের পরিচিতি দেশবাসীর কাছে অনেক আগে থেকেই। এবার এই দ্বীপটি বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি হচ্ছে ডিজিটাল দ্বীপ হিসেবে। ‘কনভার্টিং মহেশখালী ইনটু ডিজিটাল আইল্যান্ড’ প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বীপটিকে ডিজিটাল করা হয়েছে। কোরিয়ান টেলিকম ও আইওএম গোটা দ্বীপকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় নিয়ে এসেছে। দুই বছর আগে দ্বীপটিকে ডিজিটাল ঘোষণা করা হয়। আসলে দ্বীপটি কতটা ডিজিটাল হয়েছে তা দেখতে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার পরিদর্শনে গেছেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে দুটি জায়গাকে পুরোপুরি ডিজিটাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একটি হচ্ছে সিলেট অন্যটি মহেশখালী। দুই বছর আগে দ্বীপটি কোরিয়া ও আইওএমের যৌথ অর্থায়নে ডিজিটাল দ্বীপ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দ্বীপের মানুষ ডিজিটালের কতটা সুবিধা পাচ্ছে- কিংবা পাচ্ছে না এটা মনিটর করা হয়নি। আমি যত দূর জানি মহেশখালীর স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম করা হয়েছে। কিন্তু এগুলোর কোন ব্যবহার নেই। একটা ভূখন্ডকে যখন ডিজিটাল করা হয় তখন ওই ভূখন্ডের সব মানুষই ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আসার কথা। আমার মনে হয় না সেখানকার মানুষ ডিজিটাল সুবিধার আওতায় এসেছে।
যে সব ওয়াইফাই জোন করা হয়েছে ওই ওয়াইফাই জোনগুলোও নাকি অচল হয়ে পড়েছে। এ রকম ডিজিটাল সুবিধা তো দরকার নেই। ডিজিটাল কথাটার অর্থ পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হলে তাকে ডিজিটাল বলা চলে না। আমি এসব বিষয়গুলোই দেখতে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য ওই দ্বীপের সব মানুষ যাতে ডিজিটাল সুবিধার আওতায় আসে এবং তারা পুরো সুবিধা ভোগ করেন। স্কুলগুলোতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম যাতে চালু করা যায়। বিদেশী টাকায় দ্বীপটিকে ডিজিটাল করা হয়েছে। এখন এর সঠিক ব্যবহার আমাদের করতে হবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ জানিয়েছে, রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪শ’ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে পর্যটন শহর কক্সবাজার জেলার একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালী। ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। ওই এলাকার মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘কনভার্টিং মহেশখালী ইনটু ডিজিটাল আইল্যান্ড’ শীর্ষক এক ব্যতিক্রমী প্রকল্পের মাধ্যমে দ্বীপটিকে ডিজিটাল করা হয়। কোরিয়ান টেলিকম (কেটি) ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাউগ্রেশন (আইওএম) যৌথভাবে কাজটি শেষ করেছে।
মহেশখালী বাংলাদেশের অংশ হলেও এলাকাটি অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। এই দ্বীপ ভূমিতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হবে। এখানকার মানুষের সঙ্গে আর শহরের মানুষের সঙ্গে কোন পার্থক্য থাকবে না। সমান সুযোগ-সুবিধা তারা ভোগ করবেন। এতে তাদের জীবন মানের উন্নয়ন হবে। তারা তখন ঘরে বসেই বিশ্বকে এক ভূখন্ড হিসেবে ভাবতে পারবে। তাদের আর নদী সাগর বিচ্ছিন্ন করে রাখতে পারবে না। - সূত্রঃ জনকণ্ঠ