বঙ্গবন্ধু টানেল; বাংলাদেশের প্রথম টানেল

প্রকাশের সময় : 2021-02-03 16:16:49 | প্রকাশক : Administration
বঙ্গবন্ধু টানেল; বাংলাদেশের প্রথম টানেল

জমির উদ্দিন: তিনতলার সমান উচ্চতার ক্যাপসুল আকারের যন্ত্রদানবটি প্রথম টিউবের কাজ শেষ করেছে। এখন আনোয়ারা থেকে পতেঙ্গার নেভাল একাডেমি পর্যন্ত ফিরতি কাজটি করছে। শক্ত শিলা থেকে বালু, যেকোনো কিছুর ভেতর দিয়ে সুড়ঙ্গ খনন করার জন্য এ এক্সপার্ট যন্ত্রটির কার্যক্ষমতা বলার অপেক্ষা থাকেনা।

নূর মোহাম্মদ বঙ্গবন্ধু টানেলে সিগন্যাল ম্যান হিসেবে কাজ করছেন। অর্থাৎ তার সিগন্যালে এখানে মালামাল লোড-আনলোডের কাজগুলো হয়ে থাকে। টিবিএম যখন আনোয়ারা অংশে বের হয়ে যায় ওইদিনও নেভাল একাডেমি অংশে সারাদিন কাজ করেছেন তিনি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তার দায়িত্ব পড়ে আনোয়ারা প্রান্তে।

যেদিন প্রথম সুড়ঙ্গপথটি পাড়ি দেন, সেদিন ছিল শুক্রবার। জুমার নামাজের পর নেভাল একাডেমী অংশের সুড়ঙ্গপথ দিয়ে হাঁটা শুরু করেন তিনি। সুড়ঙ্গপথে ঢোকার আগে স্মৃতি ধরে রাখতে নিজের মুঠোফোনে তার সহকর্মীদের দিয়ে ছবিও তোলেন। সুড়ঙ্গপথের ঢোকার আগে যেখানে দিনের ফকফকা আলো, কর্ণফুলী নদীর জাহাজ, কলকারখানার শব্দ ও মানুষের কোলাহল।

সেখানে স্বাভাবিকভাবে কিছু দূর যাওয়ার পরই নিমিষেই উধাও এসব। বিদ্যুতের বাতি ছাড়া অন্যসব অনুপস্থিত ও নিস্তব্ধ। পুরো সুড়ঙ্গপথটি গোলাকার। নেভাল একাডেমি থেকে আনোয়ারা অংশ পর্যন্ত হেঁটে যেতে ৪০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। তবে দ্রুত হাঁটলে সময় আরও একটু কম লাগতে পারে।

নেভাল একাডেমির কর্ণফুলীর পাশ ঘেঁষে স্ন্যাক রোডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। বয়স ৭৫ এর কাছাকাছি। তিনি একটি চোখে স্পষ্ট দেখেন না, তবে অন্য চোখে দেখতে পান। তার ইচ্ছা মৃত্যুর আগে যেন বঙ্গবন্ধু টানেল দেখে যেতে পারেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে টানেল ঘিরে দুই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়েছে। সাগর ও কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরা অনেক জেলে টানেলে কাজ করছেন। এ ছাড়া অনেক বেকার যুবক এখানে কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। মোঃ হোসেন মিয়ার বাড়ি পতেঙ্গার টানেলের মুখ এলাকায়। বাবা ৩ বছর আগে মারা যাওয়ার পর সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে।

অনেক জায়গায় কাজ খুঁজেছেন, পরে বঙ্গবন্ধু টানেলে কাজ পান তিনি। তার কাজ মালামাল আনলোড করা। এ কাজে তিনি ঘণ্টায় ৬০ টাকা করে পাচ্ছেন। দিনে ওভারটাইমসহ ১০ ঘণ্টা কাজ করে ৬০০ টাকা পান। এখানকার আয় দিয়ে তিনি মা, এক ছোট বোনকে দেখাশুনা করছেন। এখানে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এতে অপরাধমূলক কর্মকান্ডও কমে গেছে। - বাংলানিউজ

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com