আদিবাসীদের গহনায় স্বাবলম্বী ঋতিষা

প্রকাশের সময় : 2021-03-31 14:55:25 | প্রকাশক : Administration
আদিবাসীদের গহনায় স্বাবলম্বী ঋতিষা

ঋতিষা চাকমা জেন্সির জন্ম রাঙ্গামাটিতে। বাবা জনদেব চাকমা সরকারি কর্মকর্তা, মা নমিতা খীসা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। দুই বোনের মধ্যে ঋতিষা বড়। ঋতিষা বি.এড (স্নাতক) শেষ করেন ঢাকার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে। এম.এড করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১৬ সালে প্রাইভেট ফার্মের এক ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় ঋতিষার।

গান, উপস্থাপনা ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি আলাদা একটি ঝোক ছিল তার। ২০১৭ সাল থেকে ঋতিষা গহনার কাজ শুরু করেন। ফেসবুক পেজ ‘বক্স অব অর্নামেন্টস’র মাধ্যমে। হঠাৎ কাজ শুরু করলেও আস্তে আস্তে আদিবাসীদের ট্রেডিশনাল গহনাগুলোর প্রতি মনোযোগ দেন। যেহেতু চাকমা সম্প্রদায়ের মেয়ে, তাই তাদের গহনাগুলোর প্রতি টান অনুভব করেন তিনি।

তার গহনার প্রতি একধরনের ভালোলাগা, ভালোবাসা, ফেসিনেশন কাজ করতো ছোটবেলা থেকেই। উদ্যোগ শুরুর পর থেকে পুরোদমে প্যাশন, ডেডিকেশন দিয়ে কাজগুলো করে যাচ্ছেন তিনি। তার একধরনের নেশা হয়ে গেছে এ কাজে। পথচলায় অনেক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়েছে তার। গহনা নিয়ে কাজ করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কারণ মানসম্মত গহনা এবং ইউনিক ডিজাইন ঠিকমতো কাস্টমারের কাছে পৌঁছানো সহজ নয়।

পুরোদমে ২ বছরের বাচ্চা ত্রিজ্ঞকে সামলে একাই বিজনেস করে যাচ্ছেন তিনি। পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন তার স্বামী। ঋতিষা দেশীয় ক্রেতার পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাদের হাতেও পৌঁছে দিচ্ছেন গহনা। আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও পোশাক আছে। কিছু কিছু জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ধাঁচের গহনাও আছে। একেক জনগোষ্ঠীর একেক গহনা।

চাকমাদের গহনার মধ্যে রয়েছে- আলছড়া, চন্দ্রহার, তাজ্জুর, পয়জে মালা, টেংগত হারু, হুজি হারু, রাজ্জুর হজ ফুল ইত্যাদি। এ গহনাগুলো আদিম যুগ থেকে চাকমা নারীরা ব্যবহার করে আসছেন। তখন সেই গহনাগুলো রুপায় তৈরি করা হতো। ঋতিষা সিলভার প্লে−টেড ব্রাস মেটারিয়াল দিয়ে নিজস্ব কারিগর দ্বারা আদিবাসীদের গহনাগুলো তৈরি করে থাকেন।

রুপায় তৈরি করতে চাইলে রুপায়ও কাস্টমাইজ করে দেই। আগে অনেকেই গহনাগুলো চিনতেন না। এখন অনেকে সমতলেও তাদের এগুলো চেনেন, পছন্দ করে কিনতে চান। যেহেতু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। তাই সেইভাবে গহনায় ফিউশনও আনা হয়। আমাদের ট্রেডিশনাল গহনার সাথে সাথে আধুনিক যে গহনাগুলোর চলন বেশি, তা নিয়েও বেশ সাড়া পাচ্ছেন তিনি। এই উদ্যোগকে আরও বড় পরিসরে দেখতে চান তিনি। সামনে গহনার একটা স্টুডিও খোলার ইচ্ছা আছে। যেখানে গহনার সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। তিনি আদিবাসীদের গহনাগুলো তুলে ধরতে চান বিশ্বদরবারে। - জাগোনিউজ২৪ডটকম

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com