নাহিদ আলম
হাজার গুনে গুণান্বিতা বোনটি আমার
বিধাতার থেকে পাওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার।।
আমি পুলকিত, আমি গর্বিত, আনন্দিত
তারই ভালোবাসায় হয়েছি আহ্লাদিত।।
কখনো যদি ব্যথা পেতে দেখে মোরে
নিজেই যেনো সে কষ্টে ছটফট করে।
মনে হয় যেন এ ব্যথা লেগেছে তারই মনে
তাইতো সে দরদিয়া বোন আমারই সনে।।
যখনই দেখবে আমার মলিন অবস্থা
তৎক্ষণাৎ এসে দেবে আমায় শত আস্থা।।
এমন বোনটি যদি থাকে গো কারো ঘরে
বিষাদ কখনো ধরা দেবে না তার অন্তরে।।
বোঝেনা কেউ কে অগ্রজ আর কে অনুজ
স্নেহ আর ভালোবাসা রোজ নিচ্ছে খোঁজ।
আমি যেনো তার ওগো দুই চোখের মনি
সেও যেনো আমার হৃদয়ের এক স্বর্ণ খনি।।
সতত মনে পড়ে তার সকল অমিয়বাণী
হে খোদা, তুমি ভালো রেখো তার মুখখানি।
জীবনে আমি যা হয়েছি, যতখানি সফল
পুরাটাই তারই একার পরিশ্রমের ফসল।।
বোঝেনা সে কার্পণ্যতা আর কপটতা
তার হৃদয় বুঝে শুধু মায়া আর মমতা।।
কোন অসহায় যদি হাত বাড়ায় চলার পথে
দিয়ে দেয় সে যতখানি আছে তার সাথে।।
কোন বয়োবৃদ্ধ যদি বিপদে পড়ে তারই সামনে
হাতটি গিয়ে ধরবে কন্যাসম হয়ে আনমনে।।
নেই কোনো কৃত্রিমতা আর নেই বিলাসিতা
আছে অন্তরে শুধুই সরলতা আর উদারতা।।
আকাশসম সহননশীলতা আছে যে তার
কোনোদিন স্পর্শ করে না তাকে অহংকার।।
পরের কল্যাণে সে যেন থাকে এমনি সদা ব্রত
হে মহান খোদা, সুখ দিও তাকে অবিরত।।
শত ব্যর্থতা আর গ্লানিতেও তার মুখে হাসি
তাইতো আমি তাকে বলি এক নারী মহীয়সী।।
এমন বোনটি কারো ঘরে আছে বল মোরে
অবহেলে তারে কভু ঠেলে দিও না দূরে।
শুকরিয়া হে আমার মহান পরওয়ার দিগার
দিয়েছো মোরে এমন এক অনন্য উপহার।।
শতায়ু যেন কর তারে, ফরিয়াদ তোমার তরে
এমন বোন যেন জন্মে এই বাংলার ঘরে ঘরে।।