পায়রায় টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ

প্রকাশের সময় : 2018-11-21 13:49:07 | প্রকাশক : Admin
�পায়রায় টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ

বন্দর দিয়ে বাণিজ্যিক প্রসার ঘটাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বাস্তবায়ন হচ্ছে স্বপ্নের মেগাপ্রকল্প পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর। জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে কন্টেনার টার্মিনাল, মাল্টিপারপাস টার্মিনাল ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৩ হাজার ৯৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাবটি একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে। যার পুরোটাই সরকারী অর্থায়নে হবে।

সরকারের অগ্রাধিকার বা ফার্স্টট্র্যাকভুক্ত ১০ প্রকল্পের একটি পায়রা ‘গভীর সমুদ্র বন্দর’ নির্মাণ। ’১৩ সালের নভেম্বরে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে বন্দরটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন বছর পর ’১৬ সালের আগস্টে আরেক ফার্স্টট্র্যাক প্রকল্প পদ্মা সেতুর জন্য চীন থেকে আনা পাথর খালাসের মাধ্যমে বন্দরটির কার্যক্রম শুরু হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তা উদ্বোধনও করেন প্রধানমন্ত্রী। একই বছরের নভেম্বরে ‘পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধাদির উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। তবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেও পুরো কার্যক্রম শুরু হয়নি পায়রায়। ১৬ একর জায়গায় সীমিত অবকাঠামো ও পন্টুন দিয়ে জেটি নির্মাণ করে স্বল্প পরিসরে চলছে এর কার্যক্রম।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, বন্দরটির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালনার জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী এ তিন ভাগে ভাগ করে উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে বহির্নোঙ্গরে ক্লিংকার, সার ও অন্যান্য বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ আনয়ন ও লাইটা রেজের জাহাজের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন করা। মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ’১৯ সালের মধ্যে ১০ মিটার গভীরতার চ্যানেল ড্রেজিং, একটি কন্টেনার, একটি মাল্টিপারপাস ও একটি বাল্ক টার্মিনালসহ বন্দর অবকাঠামো তৈরি করে বন্দর কার্যক্রম শুরু করা। এরই মধ্যে স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। তাই মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে কন্টেনার টার্মিনাল ও মাল্টিপারপাস টার্মিনাল এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে নতুন প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে মোট প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৯৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ’২১ সালের জুনের মধ্যে এর যাবতীয় কাজ শেষ করে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর কথা বলা হয়েছে প্রকল্প প্রস্তাবে, যা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ’।

বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (ই) বিএন জানিয়েছেন, পায়রা বন্দর দেশের জন্য একটি স্বপ্নের নাম। টার্মিনাল নির্মাণের মাধ্যমে সেটি বাস্তবায়নের পথ অনেকটা এগিয়ে যাবে। পরিকল্পনা কমিশনের এক সদস্য জানিয়েছেন, এই প্রকল্পটি শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয়, গোটা দেশেরই একটা স্বপ্ন। দেশের মেগাপ্রকল্প। আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যেতেই থাকে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে মধ্যমেয়াদী কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে পায়রা বন্দরে বেসরকারী টার্মিনালসহ অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করা, পরিকল্পিত ও প্রত্যাশিত আয়তনের উল্লে−খযোগ্য সংখ্যক বার্থিং, কার্গো ও কন্টেনার হ্যান্ডলিং এবং কন্টেনার ধারণ ক্ষমতা নিশ্চিতকরণ, জাহাজের পণ্য সামগ্রী খালাস, বোঝাই এবং স্থল পরিবহন চেনের সঙ্গে সংযুক্তকরণ, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বন্দর কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশী-বিদেশী মুদ্রা অর্জন এবং প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখা ইত্যাদি।

পায়রা বন্দরের মাধ্যমে পাল্টে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতির চিত্র। সেই সঙ্গে সামগ্রিক উন্নয়ন হবে বাংলাদেশেরও। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে সাগরবেষ্টিত রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং কুয়াকাটা ঘিরে আধুনিক ও বিশেষ পর্যটন এলাকাও গড়ে উঠবে। - ওয়াজেদ হীরা

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com