মাংসের উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি
প্রকাশের সময় : 2018-11-21 13:50:26 | প্রকাশক : Admin
ওয়াজেদ হীরাঃ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। আর তাই দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে মাংসের বাজার বড় পরিসরে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। যদিও কিছু কিছু দেশে এখনও মাংস রফতানি হচ্ছে তবে বৃহৎ পরিসরে হলে রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি দেশের তরুণরা আরও বেশি এই খাতে আগ্রহী হবে বলে সংশ্লি−ষ্টরা মনে করছেন। গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ ও বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক পোল্ট্রি উৎপাদন করে একদিকে যেমন বেকারত্ব কমেছে তেমনি বেড়েছে উৎপাদনও। আর তারই ধারাবাহিকতায় দেশ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে গেছে। আর এখন দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বড় পরিসরে বিশ্ববাজার ধরতে চায় বাংলাদেশ।
দেশে বিগত ১০ বছরে মাংসের উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। মাংস উৎপাদনের এই দৃশ্যমান অগ্রগতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ উদ্যোগ ও বেসরকারী খাতে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক পোল্ট্রি উৎপাদন বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। দেশে ব্যাপক হারে পশু পালন করায় কোরবানির ঈদে ভারতীয় গরু আমদানির প্রয়োজনীয়তাও ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। আর বর্তমানে দেশে মুরগির মাংসের উৎপাদন দৈনিক প্রায় দুই হাজার টন। তাছাড়া ছাগল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল জাতের ছাগল বিশ্বের সেরা জাত হিসেবে স্বীকৃত।
বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে বিশে^র চার দেশে মাংস ও মাংসজাত পণ্য রফতানি হচ্ছে। দেশগুলো হচ্ছে মালদ্বীপ, দুবাই, কুয়েত ও কোরিয়া। এর মধ্যে মালদ্বীপে বেশি পরিমাণে যাচ্ছে বলেও জানা গেছে। সর্বশেষ চলমান তথ্যে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে (মে ২০১৮ পর্যন্ত) ৬২ হাজার ৪২৫ কেজি মাংস রফতানি হয়েছে। যেখান থেকে আয় হয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। বতর্মানে বাংলাদেশ থেকে তিনটি প্রতিষ্ঠান মাংস ও মাংসজাত পণ্য রফতানি করছে।
প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে দেশ যেমন সমৃদ্ধ হচ্ছে তেমন দেশের মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত যদি মাংস রফতানি করতে পারে আমরাও কেন নয়? এ জন্য মার্কেট তৈরি করতে হবে; সেই পলিসি নিয়ে এগোতে হবে। অল্প পরিসরে হচ্ছে এটি খুশির খবর। ভবিষ্যতে এটি আরও বড় হবে। নানা মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তবে বড় পরিসরে যেতে হলে প্রচার এবং পণ্যের গুণগত মানের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। বিশ^বাজারে অধিক পরিমাণে রফতানি হলে দেশের বেকারত্ব কমে আসবে।
নানা সেক্টরে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মাছ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বিশে^র বাজারে অল্প পরিসরে হলেও রফতানি একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বড় পরিসরে এই কার্যক্রম এগিয়ে গেলে মাংস ও মাংসজাত পণ্যেও আলাদা পরিচিতি পাবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে রফতানি আয়ের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন মানুষের মধ্যেও প্রাণিসম্পদে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। -জনকণ্ঠ