কলোরেকটাল ক্যান্সার
প্রকাশের সময় : 2019-01-19 11:43:10 | প্রকাশক : Admin
সিমেক ডেস্কঃ কলোরেকটাল ক্যান্সার কোথায় হয়ঃ
খাদ্যনালীর নিচের অংশ যেখানে বায়ু ও মলমিশ্রিত পানি থাকে। সেই অংশগুলোর যেমন বিশেষ করে সিকাম, কোলন, রেকটাম ও পায়ুপথের ক্যান্সারকে বোঝায়।
এ রোগে আক্রান্তের পরিমাণ কেমনঃ
বাংলাদেশে এই রোগে আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা নেই। তবে উন্নত বিশ্বে ক্যান্সারের মাধ্যমে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক এবং ক্যান্সার রোগীর মধ্যে এর অবস্থান তৃতীয় স্থানে। আমাদের দেশেও এই রোগের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
এ রোগের কারণগুলো কি কিঃ
১. খাদ্যাভাস পরিবর্তন ২. জেনেটিক বা পারিবারিক কারণ ৩. ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু। ৪. এডনোমা বা পলিপ ৫. ইনফ্লেমটরি বাওয়াল ডিজিজ ৬. বাইল এসিড রস ইত্যাদি।
খাদ্যাভাস কিভাবে এই রোগের জন্য দায়ীঃ
পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, শাকসবজি ও আঁশযুক্ত খাবার যেমন লাল আটা, ফল-ফলাদি খাবারগুলো খেলে ক্যান্সার কম হয়। আবার গোশত, চর্বিজাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড, কম পানি খাওয়া ইত্যাদিতে অভ্যস্তদের ক্যান্সার রোগ বেশি হয়।
অন্য কারণগুলোঃ
জেনিটিক বা পারিবারিকভাবেও এ রোগে বংশধরদের ভুগতে দেখা যায়। অর্থাৎ কোনো কোনো পরিবারে এ রোগ একাধিক ব্যক্তির মধ্যে দেখা যায়।
উপসর্গ সমূহঃ
১. মলদ্বারে রক্তক্ষরণ অর্থাৎ পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাইলস বলে সন্দেহ করে চিকিৎসা করা হয়।
২. মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন।
যে রোগী আগে স্বাভাবিকভাবে দৈনিক মলত্যাগ করত। এ রোগ হলে তার কনসটিপেশন বা পায়খানা ক্লিয়ার না হওয়া, অল্প পায়খানা হওয়া। আবার কখনো কখনো মিউকাস ডায়রিয়া দেখা যায়। বিশেষ করে সকাল বেলা।
৩. পেটে ব্যথা, বমি (ইনটেসটিনাল অবস্ট্রাকশন) ইত্যাদি ইমার্জেন্সি উপসর্গ নিয়ে আসতে পারে।
৪. পেটে চাকা ও টিউমার নিয়ে ডাক্তারের কাছে আসতে পারে।
৫. দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা ও খাবারের অরুচি ইত্যাদি নিয়েও ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়।
৬. খাদ্যনালীর বাইরে এ রোগ অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেমন লিভার, ফুসফুস ও মস্তিষ্ক।
রোগ নিরূপণ ও চিকিৎসা কলোনোসকোপি ও বেবিয়াম এনেমা পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই এ রোগ নিরূপণ করা সম্ভব।
চিকিৎসাঃ
এ রোগের সার্জারিই একমাত্র চিকিৎসা। প্রাথমিকপর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে চিকিৎসার সফলতা অনেক বেশি। বর্তমানে মডার্ন সার্জারি চিকিৎসার মাধ্যমে কলোস্টমিবেগ (পেটের মধ্যে কৃত্রিম পায়খানা দরজা করে দেয়া) না লাগিয়ে স্বাভাবিকভাবে মলদ্বার দিয়ে মলত্যাগ করা সম্ভব। -সূত্রঃ অনলাইন