দিনরাত কাজ চলছে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রে
প্রকাশের সময় : 2019-02-14 15:38:49 | প্রকাশক : Admin
রশিদ মামুনঃ রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রায় ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতায় থেমে থাকা বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে এখন তিন শিফটে কাজ করা হচ্ছে। রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে শুরুতে অপচয় হওয়া সময় পুষিয়ে নিতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী বিদ্যুত কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা। সরকারের দশ অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে রামপাল একটি।
এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদ্যুত কেন্দ্রটিতে মোট ২০ হাজার পাইলিং করতে হচ্ছে। যার মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যুত কেন্দ্রটির ইউনিট-১ এর বয়লার এবং চিমনির কাজ চলছে। একই সঙ্গে কয়লা খালাস করার জন্য জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউনিট-১ এর সঙ্গে সমান্তরাল গতিতে চলছে ইউনিট-২ এর নির্মাণ কাজ। যে ইউনিটটি ২০২১ এর জুনে উৎপাদনে আসার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে পরিবেশবাদীদের বাধার মুখে কেন্দ্র নির্মাণে দীর্ঘ সময় নষ্ট হয়েছে। এখন সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দিনরাত কাজ করা হচ্ছে। সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কেন্দ্রটির অর্ধেক মালিকানা রয়েছে পিডিবির হাতে। বাকি মালিকানা রয়েছে ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এনটিপিসির হাতে।
বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে পরিবেশ বাদীদের এমন আন্দোলনের মধ্যে দীর্ঘ সমীক্ষা শেষে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের কাজ আবার শুরু করা হয়। শুরুতে ইউনেসকো আপত্তি জানালেও পরে তা তুলে নেয়াতে কাজ শুরু করা হয়। রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র সূত্র বলছে, বিদ্যুত কেন্দ্রের জমির মাটির মান ভাল না হওয়াতে সেখানে পাইলিং বেশি করতে হচ্ছে। একই ক্ষমতার বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য পায়রাতে আট হাজার পাইলিং লাগলেও রামপালে প্রয়োজন হচ্ছে ২০ হাজার। ফলে কেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয় ও সময় দুটোই বাড়ছে।
সংশ্লি−ষ্টরা বলছেন রামপাল সরকারের ১০ অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে একটি। বিদ্যুত কেন্দ্রটি যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতি না করে এজন্য সর্বাধুনিক সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রটির ২০১৫ সালে উৎপাদনে আসার কথা ছিল। কিন্তু দেশের পরিবেশবাদীদের আন্দোলনের মুখে তা পিছিয়ে যায়। এ সময় জাতিসংঘও সরকারকে শর্ত দেয়। পরবর্তীতে আলোচনায় শর্ত সাপেক্ষে কেন্দ্রটি নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানায় সরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বিদ্যুত কেন্দ্রটি সুন্দরবনের কোন ক্ষতি করবে না। বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলছে সরকার এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। ॥