উচ্চ রক্তচাপের কারণ
প্রকাশের সময় : 2019-02-28 15:04:42 | প্রকাশক : Admin
সিমেক ডেস্কঃ উচ্চ রক্তচাপের কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অজানা। তবে অনেক সময়ে বিভিন্ন রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অন্য বিভিন্ন রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে রক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জিনগত কিংবা অভ্যাসগত কারণ এই সমস্যা তৈরি করে। তবে কারো কারো পরিবারে বংশপরম্পরায় উচ্চ রক্তচাপ থাকে এবং তা অনেক ক্ষেত্রে সন্তানদেরও বহন করে।
আবার কেউ যদি স্বাস্থ্যকর খাবার না খেয়ে জাঙ্ক ফুড খান এবং হাঁটাচলা কম করেন, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা টেলিভিশনের সামনে বসে থাকেন, দুশ্চিন্তা করেন তবে এই রোগ হতে পারে। তার পাশাপাশি অল্প পরিমান মদ খেলেই পুরুষদের রক্তচাপ বাড়বে। যদিও নারীদের নিয়মিত দুই-তিন পেগ খেলে তবেই রক্তচাপ বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গেরও ক্ষতি করে বিশেষ ভাবে কিডনি, চোখ, মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্রের। অনেক সময় জন্মগত কারণে এই অসুখ হয়। দেড় কেজির নিচের ওজনের শিশু জম্ম নিলে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
আবার কারো কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা জন্ম থেকে কিডনির আকার ছোট, তাদেরও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি তরুণদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারণও রক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে ৪০-৪৫ বছরের নিচের বয়সে হার্ট অ্যাটাককে বলা হয় ইয়ং মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন। সারা বিশ্বের জরিপ দেখা গিয়েছে, ৯০-৯৫ শতাংশ তরুণ প্রজন্ম হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ধূমপানের কারণে। আর ৭০-৮০ শতাংশের কারণ বিরিয়ানি, তেলেভাজা ও মদ খাওয়া। ৪০ বছরের নিচে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বছরে ৩০ শতাংশ।
তাই উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন শরীরচর্চা করতে হবে। জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা দরকার। দিনে অন্তত পাঁচ বার শাক ও বিভিন্ন সবজি এবং ফল খেতে হবে। কারণ ফলে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে। একজন মানুষের সারা দিনে ১৫ গ্রাম তেল খাওয়া উচিত। লবণ ছয় গ্রামের কম ও সরাসরি সোডিয়াম তিন গ্রামের কম খেতে হবে। ধূমপান ও মদ্যপান পুরো বন্ধ করতে হবে।