গানের নন্দিত মানুষ মিল্টন খন্দকার

প্রকাশের সময় : 2019-03-13 12:00:06 | প্রকাশক : Admin
গানের নন্দিত মানুষ মিল্টন খন্দকার

 আবু সুফিয়ান রতন: তাকে শিল্পী তৈরির কারিগর বলা হয়ে থাকে। নতুনদের নিয়ে নিরীক্ষা করতে পছন্দ করেন তিনি। সাফল্যও পেয়েছেন বেশিরভাগ সময়ই। আজকের তারকা শিল্পী ডলি সায়ন্তিনী, মনির খান, মনি কিশোর, বাদশা বুলবুল, পলাশ, এস ডি রুবেল, সাজু, মহসিন খান, নাসির, রোকসানা মমতাজ, সুমন বাপ্পীরা তার আয়োজনে গান করেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এছাড়াও বহু জনপ্রিয় গান লিখেছেন ও সুর-সংগীতায়োজন করেছেন আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোর, কনকচাঁপা, আসিফ আকবরের মতো শিল্পীদের জন্য।

তিনি মিল্টন খন্দকার। গানের কথা ও সুরের এই ফেরিওয়ালা ১৯৬৭ সালে কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় এক প্রগতিশীল, সংস্কৃতিমনা ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খন্দকার আহমেদুল হক ছিলেন পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা। আট ভাই এক বোনের মধ্যে মিল্টন খন্দকার ষষ্ঠ। ব্যক্তিগত জীবনে মিল্টন খন্দকার বিয়ে করেছেন ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ। তার সহধর্মিনী লুবনা ইয়াসমিন চৌধুরী টেলিভিশনের তালিকাভূক্ত শিল্পী। দুই কন্যা জাইবা নাহিয়ান খন্দকার শ্রেষ্ঠা ও জারা।

সদাহাস্য, নিরহংকারী এই গুণী মানুষটি ১৯৮৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ৩৫০০ গান উপহার দিয়ে আমাদের টেলিভিশন, রেডিও, অডিও ও সিনেমাশিল্পর গানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। কয়েক শত তুমুল শ্রোতাপ্রিয় গানের জননন্দিত এই গীতিকবি ও সুরস্রষ্টা ২০১৩ সালে ‘খোদার পরে মা’ ছবির গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

মিল্টন খন্দকার জানান, ছাত্রাবস্থায় অভিনয়ের প্রতি অনুরক্ত হয়ে সম্পৃক্ত হন ‘বোধন কুষ্টিয়া নাট্যসম্প্রদায়’র সাথে। অভিনয় করেন অনেক মঞ্চ নাটকে। নাট্যচর্চা করতে গিয়ে কণ্ঠসাধনার প্রয়োজন হওয়ায় ওস্তাদ খন্দকার মিজানুর রহমান বাবলুর শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তার উৎসাহে গানের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে পরে ঢাকায় এসে ভর্তি হন সংগীত মহাবিদ্যালয়ে।

১৯৮৭ সালে তিনি নিজের লেখা ও সুরে হাসান চৌধুরীর কণ্ঠে ‘সেই তুমি’ অ্যালবাম নিয়ে অডিও বাজারে প্রবেশ করেন। ‘বেতার জগত’ থেকে প্রকাশিত সেই প্রথম অ্যালবামই হিট হয়। তারপর ১৯৮৮ সালে দিলরুবা খান এবং ১৯৮৯ সালে ডলি সায়ন্তনীর গাওয়া ‘হে যুবক’ অডিওশিল্পে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা করে। সুপার-ডুপার হিট হয় গানটি।

১৯৯৬ সালে অডিও বাজারে আরেক বিস্ময় হিসাবে নিয়ে আসেন মনির খান কে। ‘তোমার কোন দোষ নেই’ নামের মনির খানের গাওয়া সেই অ্যালবামও সুপার-ডুপার হিট হয়। তার পরের ইতিহাস কম বেশি সবার জানা। অঞ্জনা শিরোনামে ২৫টির মতো গান লিখে মনির খানকে নিয়ে ১৪টি একক অ্যালবাম করে দেশ মাতিয়েছেন তিনি।

এ ছাড়া নতুন গীতিকবি তৈরির জন্য ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘গীতি কাব্য চর্চা কেন্দ্র’। সারা দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুই হাজার নবীন গীতিকবি হাতে কলমে গান লেখার কলাকৌশল চর্চা করে গেছেন গীতিকাব্য চর্চা কেন্দ্র থেকে। ১৯৯০ সাল থেকে ‘ঘেরাও’ সিনেমা দিয়ে শুরু করেন সিনেমায় গান লেখা। সেই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ সিনেমায় গান লিখেছেন। তার তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া গানগুলোর মধ্যে মা তুমি আমার আগে যেও না গো মরে, আমি যাচ্ছি বাবা যাচ্ছি মা, সবুজের বুকে লাল উড়বেই চিরকাল, খুব কাছাকাছি তুমি আমি আছি, রঙচটা জিন্সের প্যান্ট পরা, ও সাথীরে যেও না কখনো দূরে, তোমরা কাউকে বলো না, আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু, তোমার কোন দোষ নেই, চাঁদেরও ঈর্ষা হবে তোমায় দেখে, চিন্তার চেয়ে চিতার আগুন ভালো ইত্যাদি       উল্লেখযোগ্য। বর্তমানে তিনি গান লেখা ও সুরসৃষ্টির পাশাপাশি সংগীত পরিচালনার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com