একই ঘটনা যদি বাংলাদেশে ঘটতো!!!
প্রকাশের সময় : 2019-03-27 18:35:28 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে কালো দিন জন্ম নিয়েছে। শান্তিময় দেশের তালিকাতে দুইয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডে ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনা। শুধু গোলাগুলিই নয়, ধ্বংসাত্মক সন্ত্রাসী তাণ্ডব চলেছে ভাসমান সাগরের তীরে। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় ৫০ জন মারা গেছেন। যে ঘটনার শিকার হতে পারতো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলও। খ্রিস্টান জঙ্গি ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ।
যেখানে বিদেশি কোনো ক্রীড়াদল বাংলাদেশে আসলে তাদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো দল বিদেশে গেলে তাদের জন্য সে পর্যায়ের বা তার নিচের পর্যায়ের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয় না। কিন্তু কেন এমন হয়? আবার এই একই ঘটনা যদি বাংলাদেশের মাটিতে ঘটতো তবে ফলাফল কি ঘটতো।
হয়তো পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশকেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে নিষেধাজ্ঞা জারি করতো আইসিসি।
এমনকি জঙ্গি দমনের নামে সামরিক সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিতে চাইতো অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র। বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞার দাবীও তুলতো অনেক কট্টরপন্থীরা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে এই ঘটনা হওয়ার পর কোনও ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
২০১৬ সালে গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। এমনকি সেই সময়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য আইসিসির কমিটিকেও বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল কয়েক দফায়। এখন দেখার বিষয় ঘৃণ্য ঘটনার জন্ম দেয়া নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিউজিল্যান্ড গিয়েছে ৬ ফেব্র“য়ারি। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর থেকে টাইগারদের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেখা যায়নি। এমনকি শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলা চালানোর প্রেক্ষিতে যখন বাংলাদেশী দল গাড়িতে পৌঁছলেন এবং সেখান থেকে গন্তব্যে ফিরেন তখনও তাদের পাশে নিরাপত্তাবাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি। হামলার পর তামিম, মিরাজ, তাইজুলরা দ্রুত হেঁটে বাসে ফিরছেন। এ সময় তাদের পাশে বা বাসের পাশে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি। এ অবস্থায় তাদেরকে মসজিদে জুমা না পড়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।