রাজশাহী বোর্ডে একটি ‘ঘুষহীন’ অভিজ্ঞতা
প্রকাশের সময় : 2019-04-11 17:31:15 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ মালয়েশিয়ায় একটা কোর্সের জন্য কিছু কাগজপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে মনে পড়ল এসএসসির সার্টিফিকেটে আমার বাবার নামে ভুল আছে; পাসপোর্টের সাথে মিলছে না। যদিও ভুলটা বেশ ছোট। ‘Shazedur’ এর জায়গায় ‘Sazedur’ হবে অর্থাৎ শুধু ‘h’ বাদ যাবে।
ভিসা কনসালটেন্টের সাথে কথা বললে তিনি বললেন বিষয়টা যেহেতু সার্টিফিকেট, তাই সংশোধন করাই সবচেয়ে ভালো। আমিও ভাবলাম, ছোট্ট একটা ভুলের জন্য কখন কোন বেকায়দায় পড়ে যাই, ভুল কেন রাখবো? তাই সংশোধন করার সিদ্ধান্তই নিলাম।
সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র সাথে নিয়ে বগুড়া সাতমাথা থেকে সকাল ৭টায় রাজশাহীর গাড়িতে উঠলাম। রাজশাহী পৌঁছুতে ১১টা বেজে গেল। শিক্ষা বোর্ডে যেয়ে নাম সংশোধনের শাখায় যোগাযোগ করলে তারা অনলাইনে নাম সংশোধনের আবেদন করতে বললেন। শিক্ষা বোর্ডের পাশে একটা দোকান থেকে অনলাইনে নাম সংশোধনের আবেদন করলাম।
এরপর ৯৫৮ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে, টাকা জমার রিসিপ্ট, জন্ম নিবন্ধনপত্র, নম্বরপত্র, সার্টিফিকেট, পিতা-মাতার ভোটার আইডি আর সকল কাগজের ফটোকপিসহ আবেদনপত্র শিক্ষা বোর্ডে নাম সংশোধন সংশ্লি−ষ্ট শাখায় জমা দিলাম। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের নামে অনেক অভিযোগ শুনেছি। এখানে প্রতিটি ইট-পাথরও নাকি ঘুষ খাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। বোর্ডে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারির সেবামূলক আচরণে আমি অবাক হয়ে গেলাম। কেউ একটা পয়সাও ঘুষ দাবি করলো না বরং তারা যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে আমার কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করে দেওয়ার কথা জানালেন। - সংগৃহীত