লোকাল বাসে মতিয়া চৌধুরী

প্রকাশের সময় : 2019-04-25 17:03:31 | প্রকাশক : Admin
লোকাল বাসে মতিয়া চৌধুরী

আব্দুল মোমেনঃ শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা রাজলক্ষী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করতে নন এসি যাত্রীবাহী একটি সাধারন বাসযোগে নিজ নির্বাচনী এলাকায় এসে কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আবারো প্রমান করলেন তিনি সত্যিই জাতির আদর্শ।

অন্যান্যদের মতো সরকারী গাড়ি দিয়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসার যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি ওই সুযোগকে কাজে না লাগিয়ে সাধারন বাসযোগে শেষ রাতে নকলায় পৌঁছেন। তিনি ইচ্ছা করলে ভালো মানের একটি প্রাইভেটকারেও আসতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটাও করেননি।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এমন ন্যায়পরায়নতা, সততা, নির্লোভ, মহামানবতা ও নিরঅহংকারী ঘটনার চিত্র এটাই প্রথম নয়। এর আগে সাধারন নারী ভোটারদের সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে তিনি আদর্শ নেতার মডেলে পরিণত হয়েছিলেন। ওই দিন তাঁর ভোট দেওয়ার চিত্র বিভিন্ন কাজের উদাহরণ হিসেবে অনেকে ব্যবহার করেন।

সম্প্রতি প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সরকারী গাড়ি ফিরিয়ে দিয়ে দেশ বিদেশে নির্লোভ নেতার স্বীকৃতি পান। সর্বক্ষেত্রে তাঁর এমন ন্যায়পরায়নতা, সততা, নির্লোভ, মহামানবতা ও নিরঅহংকারী ঘটনার চিত্র স্থানীয় নেতাকর্মীদের জীবনে প্রভাব পড়বে বলে আশা সাধারন জনগনের। তাঁর অনুসারী সব নেতাকর্মীদের হৃদয়ে এই আদর্শের চিহ্ন অঙ্কিত হওয়ার কথা, এমনটাই আশা করছেন অনেকে।

তার সাথে একই বাসের সামনের সিটে বসে আসা নাজমুল হাসান স্বর্ণ বলেন, আমি নিজ বাড়ি নকলায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা ১৫ মিনিটে একটি নাইট কোচে উঠি। বাসটি টার্মিনাল থেকে বের হয়ে প্রধান সড়কে উঠার পরে আমি দৌঁড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠি। গাড়ির লাইটগুলো নিভানো থাকায় চালকের সহকারী আমাকে নির্দিষ্ট আসনে বসিয়ে দেয়। আমি অন্ধকারে চোখ বন্ধ করে ঘুমোনোর চেষ্টা করছিলাম। এ সময় পরিচিত কণ্ঠে কেউ একজন চালকের কাছে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কার সাথে যেন কথা বলছেন।

পরিচিত কণ্ঠ হওয়ায় আমি লোকটিকে খোঁজছিলাম। এমন সময় ওই লোকটি আমার পাশদিয়ে তার সিটে যাওয়ার সময় অন্য গাড়ির হালকা আলোতে তাকে চিনে ফেললাম; সে আর কেউ নয়, সেইজন হলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর গানম্যান রেজাউল করিম। আমার পরিচিত হওয়ায় তার হাত ধরতেই সে ইশারায় আমাকে বুঝিয়ে দিল আমার পেছনের সীটে সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী (মাননীয় এমপি) ও তার একান্ত সহকারী (পিএস) রয়েছেন। আমি তার হাত ছেড়ে দিলাম। গাড়ির সামনে সাইরেন বাজিয়ে চলছে পুলিশ প্রটোকলের গাড়ি।

গাজীপুরের জয়দেবপুর চৌরাস্তা পাড় হওয়ার পরেই যাত্রী উঠা নামা করানোসহ চালক ও তার সহকারী তাদের স্বাভাবিক ভাবে কাজ করেই চলেছে। ফলে অনেক সময় সামনে থাকা প্রটোকলের গাড়িটি তাল হারিয়ে ফেলছে। কোন এক সময় প্রটোকলের গাড়িটি সাইরেন বাজিয়ে তার গতিতে চলায় আমাদের গাড়িটি একটি গাড়ির পিছনে পড়ে যায়।

কিন্তু গাড়িতে থাকা সন্মানিত যাত্রী সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী মহোদয় সাধারণ যাত্রীর মতো চুপচাপ বসে আছেন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। অবশেষে আমরা নকলায় এসে পৌঁছি। কিন্তু পুলিশ প্রটোকলের গাড়ির দুই গাড়ির পিছনে আমাদের গাড়ি। সাইরেন শুনে প্রটোকলের গাড়ির পিছনের গাড়ি থেকে সম্মানিত ওই যাত্রীকে বরণ করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা ওই গাড়িতে উঠে। কিন্তু তাকে না পেয়ে সবাই হতাশ! ঠিক এই মুহুর্তে আমাদের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

স্বর্ণ বলেন, আমি এই সব দেখছি আর ভাবছি। কতটুকু ধৈর্য থাকলে সাধারন যাত্রীবাহী বাসে থাকা লোকের চেচামেচি সহ্য করা সম্ভব! এতেই প্রমান হয় যে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী শুধুই একজন নেতা নন। তিনি জাতির আদর্শও বটে। এমন আদর্শের নেতা সারাদেশ ব্যাপী তৈরী হলে, দেশ তড়তড় করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, এতে কারো কোন প্রকার সন্দেহ থাকার কথা নয়। এমন আদর্শবান দেশপ্রেমিক নেত্রীর দেশে বড়ই প্রয়োজন। - নালিতাবাড়ী

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com