এগিয়ে চলছে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ
প্রকাশের সময় : 2019-07-11 18:27:17 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ নড়াইলে কালনা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সেতুটি হবে ছয় লেনের। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ক্রসবর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এই নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ছয় লেনের এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির ও দু’টি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১ মিটার। উভয় পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক হবে ৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার। সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ৯৫৯ কোটি টাকা।
সেতুটি না থাকায় দেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ সেতু চালু হলে মধুমতি নদীর উভয় পাড়ের বেশ কয়েকটি জেলার মানুষের ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। পাশাপাশি কমবে দুর্ভোগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বরিশাল মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইল, যশোর, সাতক্ষীরাসহ আশপাশের আরও কয়েকটি জেলার মানুষ সুফল পাবেন।
ঢাকা থেকে এ সেতু দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ঢুকতে হলে মধুমতি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা অত্যন্ত জরুরি। কালনা ঘাটে সেতু নির্মাণ করা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি। যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তী মেয়াদে সরকার গঠন করে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সেতুটির ডিপিপি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ-নড়াইলের মাঝখানে মধুমতি নদীর ওপর কালনা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। গত বছরের ২৪জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেট এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। জাপানের টেকনেক কর্পোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিঃ যৌথভাবে সেতুটির ঠিকাদার। নিয়োজিত ঠিকাদারকে ৩৬ মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও ব্যতিক্রমী ছয় লেনের সেতু হবে নড়াইল ও গোপালগঞ্জের কালনা সেতু।