আবারও ষড়যন্ত্র হচ্ছে

প্রকাশের সময় : 2019-08-07 15:20:44 | প্রকাশক : Administration

সিমেক ডেস্কঃ ধেয়ে আসছে বন্যা। দেশ ও জাতি আশস্কায়। হবে কি হবে না, যদিও বলা যায় না কিন্তু ষড়যন্ত্র হচ্ছে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। ষড়যন্ত্র দেশে হচ্ছে; বিদেশেও হচ্ছে। তবে যতনা দেশে হচ্ছে, বিদেশে হচ্ছে তারচেয়ে অনেক বেশী। ষড়যন্ত্রের গন্ধ বিদেশ থেকেই বেশী ছড়াচ্ছে। চারিদিকেই এখন গন্ধ।

পদ্মার উপর সেতু এদেশের মানুষের বহুদিনের লালিত স্বপ্ন। কিন্তু এর কাজ শুরুর আগেই আমরা দেখছি বৈশ্বিক ষড়যন্ত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা নেতৃত্বের কারণে আমাদের নিজেদের টাকায় এই সেতু এখন বাস্তবরূপ লাভ করছে। যারা অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিলো সেই বিশ্বব্যাংকও তাদের ভুল অনেকটাই বুঝতে পেরেছে। এখন কী আবার দেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয় হতে চাইছে।

হঠাৎ করেই কয়েক দিন আগে গুজব ছড়ানো হলো। যার মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া হলো পদ্মাসেতুর জন্য ছোট ছোট তাজা প্রাণ লাগবে। এ আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া হলো দেশজুড়ে। শিশুদের গলাকাটা আতঙ্ক। এই ঘটনায় গুজব যেন বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠছে। এতে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। দুটো শিশুর ওপর এ ধরনের নৃশংস আঘাতের পর অভিভাবকরা চরম উদ্বিগ্ন। অভিভাবকদের কাছে তা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠছে। স্কুলগুলোতে শিশু শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার হ্রাস পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এমনকি রাজধানীসহ দেশের বভিন্ন স্থানে শিশুদের মাথা কাটার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে পুলিশের টনক নড়তে দেরি হয়নি। গুজব সৃষ্টিকারীদের ধরেছে তারা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। কেউ পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে- নাকি এমনিতেই মানুষের মাঝে আতঙ্ক নেমে আসছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রশাসন এ ধরনের গুজব মোকাবেলায় সতর্ক ও সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

পদ্মাসেতুতে কেন মানুষের মস্তক লাগবে। দুনিয়াব্যাপী এত বড় বড় ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে কোথাও কি কোন মস্তক লেগেছে। এর আগে আমাদের দেশেই তো যমুনা সেতু নির্মিত হয়েছে সেখানে কি মস্তক লেগেছিল। পদ্মা সেতু যখন নির্মাণ কাজ শেষ হতে যাচ্ছে তখন একটা বিশেষ মহল অত্যন্ত সুকৌশলে এগুলো রটাচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলানো বা ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে এটা করা হচ্ছে। পদ্মাসেতু নিয়ে আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটা থামাতে হবে। স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা আরও ত্বরান্বিত করতে হবে।

তবে পদ্মা সেতু নিয়ে করা গুজব ষড়যন্ত্রের দেশীয় রূপ। বিদেশী রূপও আছে। বলা নেই কওয়া নেই হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের নারী প্রিয়া সাহা সংখ্যালঘুদের নিয়ে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের মাঝেই এর সত্যতা প্রকাশ পায় যে অভিযোগটি ঢাহা মিথ্যে এবং ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ছেন সেটা ক্রমশই পরিস্কার হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার অফিসে কথা বলেন। এতে বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে এক নারী ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান নিখোঁজ হয়েছেন। দয়া করে আমাদের লোকজনকে সহায়তা করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই।

এরপর তিনি বলেন, এখন সেখানে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমরা আমাদের বাড়িঘর খুইয়েছি। তারা আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তারা আমাদের ভূমি দখল করে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন বিচার পাইনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে জানা যায়, ওই নারীর নাম প্রিয়া সাহা। তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবাধিকার কর্মী।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে এক বাংলাদেশী সংখ্যালঘু নির্যাতন বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক বলে মনে করেন না ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার। রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মিলার এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ওই নারীর এমন অভিযোগ সঠিক নয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে। আমার প্রথম আট মাসের দায়িত্ব পালনকালে আমি বাংলাদেশের আটটি বিভাগেই ঘুরেছি। মসজিদ, মন্দির ও চার্চে গিয়ে ইমাম-পুরোহিতদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আমি এসেছি একটি বৌদ্ধ মন্দিরে, আমার কাছে যেমনটা মনে হয়েছে, এখানকার ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসের লোকজন একে-অপরকে শ্রদ্ধা করে। তাই আমি মনে করি, তার অভিযোগ সঠিক নয় বরং ধর্মীয় সম্প্রীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি   উল্লে−খযোগ্য নাম। যদিও কোন দেশই সংখ্যালঘুদের অধিকার দিতে সফলতা পায়নি।’

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com