মরুভূমিকে অরণ্যে রূপ দেয়া দম্পত্তি

প্রকাশের সময় : 2019-08-07 15:36:20 | প্রকাশক : Administration
মরুভূমিকে অরণ্যে রূপ দেয়া দম্পত্তি

সিমেক ডেস্কঃ বিস্তীর্ণ পাহাড় ও এর উপত্যকার কোথাও ছিল না গাছের ছায়া। এমনকি ঘাস বা লতাপাতার ঝোঁপঝাড়ের অস্তিত্ব টুকুও ছিল না। কিন্তু ২০ বছরে সেই অঞ্চল সবুজ অরণ্যে রূপ নিল। আর প্রাকৃতিক এ কাজ আপনা-আপনিই হয়ে ওঠেনি; শুষ্ক খাঁ খাঁ জমিকে দীর্ঘ ১০ বছরের শ্রম দিয়ে আস্ত এক ঘনজঙ্গলে পরিণত করেছেন ব্রাজিলিয়ান এক দম্পতি।

জায়গাটির নাম বুকেই ইনস্টিট্যুটো টেরা, যেখানে গাছের অভাবে কোনো প্রাণী বিচরণ করতে আসত না। আজ সেই দম্পতির চেষ্টায় গড়া সবুজ অরণ্য বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীর ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান জানায়, বুকেই ইনস্টিট্যুটো টেরা জায়গাটি একসময় এমন জঙ্গলই ছিল; কিন্তু মানুষের অবহেলায় আর কিছু প্রতিকূলতায় তা খাঁ খাঁ শুকনো ভূমিতে পরিণত হয়।

বিষয়টি একেবারেই মানতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান দম্পতি- সেবাস্তিয়াও সালগাদো ও লেলেয়া ডেলুইজ ওয়ানিক সালগাদোর। সেবাস্তিয়াও সালগাদো দেশটির একজন খ্যাতনামা ফটোসাংবাদিক। অরণ্যের কাছাকাছি অঞ্চলে থেকেই বেড়ে উঠেছেন তিনি। তাই ঘন সবুজ অরণ্য ছাড়া তিনি প্রকৃতিকে কল্পনাই করতে পারেন না।

বুকেই ইনস্টিট্যুটো টেরাকে ফের আগের রূপে ফিরিয়ে নিতে শ্রমের বর্ণনা দিতে গিয়ে সেবাস্তিয়াও দ্য গার্ডিয়ানের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, কাজের সূত্রে বহু বছর দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে ফিরে বন্যপ্রাণী ভরা অরণ্যের জায়গায় শুকনো জমি দেখে হতাশ হই। এমন বৃহৎ একটি বনে তখন মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ জমিতে গাছ ছিল। আর সবই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। গাছ না থাকায় পাহাড়ের মাটিরও ধস নামে। প্রকৃতিকে রক্ষা করতে ইনস্টিট্যুটো টেরা নামে একটি ছোট সংস্থা প্রতিষ্ঠা করি।

সেই সংস্থার মাধ্যমে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে চার লাখ গাছ রোপণ করেন বলে জানান সেবাস্তিয়াও। তিনি বলেন, এসব গাছ লাগানোর পরই ধীর ধীরে কীটপতঙ্গ ও পাখি ফিরে আসতে শুরু করে। বন্য পশুরা যেন আবার ফিরে আসে সে লক্ষ্যে সাধারণ গাছের পাশাপাশি বন্য উদ্ভিদের বীজও রোপণ করি। ধীরে ধীরে এসব গাছ চোখের সামনেই বড় হয়ে ওঠে। গাছের আড়ালে এসে আশ্রয় নেয় বহু বন্য প্রাণী।

বিগত ২০ বছর ধরে সেবাস্তিয়াও এবং তার স্ত্রী লেলেয়া ডেলুইজ এই জায়গাটির যতœ নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ২০ লাখের ওপর গাছ লাগিয়েছেন তারা। এখন এই জঙ্গলে ১৭২ প্রজাতির পাখি, ৩৩ রকমের স্তন্যপায়ী, ২৯৩ প্রজাতির গাছপালা এবং ১৫টি প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রাজিলে পরিবেশ ও বন রক্ষা কর্তৃপক্ষ।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com