প্রবাসী আয় ১৮৩৩ কোটি ডলার

প্রকাশের সময় : 2020-02-12 13:02:59 | প্রকাশক : Administration প্রবাসী আয় ১৮৩৩ কোটি ডলার

সিমেক ডেস্কঃ গেল বছরে রেকর্ড পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সদ্যসমাপ্ত ২০১৯ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে; যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৭৮ কোটি ডলার বা প্রায় ১৭.৮৯% বেশি। এর আগে ২০১৮ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ১৬৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। আগের মাস নভেম্বরে ১৫৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। যেখানে গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি ডলার। অর্থাৎ শুধু বছর হিসাবেই নয়, একক মাসের হিসাবেও রেমিট্যান্স বেড়েছে।

রেমিটেন্স বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নও (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। বছর শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ ৩২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে উঠিছিল।

ব্যাংকার ও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে মূলত দুটি কারণে। একটি হলো সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দুই শতাংশ প্রণোদনা দেয়া শুরু হয়েছে। অন্যটি হচ্ছে ডলারের দাম বেড়েছে। অর্থাৎ এখন ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা দেশে বৈধ পথে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছরও বৈধ চ্যানেলে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।

এদিকে রেমিট্যান্সের প্রণোদনার অর্থ যেন সহজে প্রবাসীরা পায় সেজন্য বিভিন্ন শর্ত শিথিল করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সমপ্রতি এক সার্কুলারে বলা হয়েছে দেড় লাখ টাকার রেমিট্যান্সে ২% হারে প্রণোদনা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার কাগজপত্র লাগবে না। আগে ১৫০০ ডলার বা সমমূল্যের অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রা পাঠালে বিনা প্রশ্নে প্রণোদনার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রবাসীদের বোঝার সুবিধার্ধে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি দেড় লাখ টাকার ওপরে রেমিট্যান্সের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিলের সময়সীমাও বাড়ানো হয়েছে। - মানবজমিন