শাহীন এখন ফ্রান্সে বড় ব্যবসায়ী

প্রকাশের সময় : 2020-02-12 13:03:24 | প্রকাশক : Administration শাহীন এখন ফ্রান্সে বড় ব্যবসায়ী

সিমেক ডেস্কঃ সুইজারল্যান্ড-ফ্রান্স সীমান্ত পেরিয়ে ছিমছাম শহর আনিমাস। সেখানে ব্যবসার নতুন চিন্তা আর অভিনব বিষয় খুলে দিয়েছে শাহীনের ভাগ্যের চাকা। পুরো নাম আনোয়ারুল আজম মজুমদার (৪৬)। খালি হাতে ফ্রান্স এসে আজ তিনি বিশাল ব্যবসায়ী। প্রবাসে বসে নিজেই চাকরি দেন বহু মানুষের।

ফেনী ফুলগাজী থানার জগৎপুর গ্রামের সাদেক মজুমদারের ছেলে আজম মজুমদার শাহীন ঢাকায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। আগ্রহের জায়গাটা ছিল মানুষের অধিকার সুরক্ষা। আর তাই মানবাধিকার প্রশ্নে কাজ করতে গিয়ে দেশে-বিদেশে পরিচিত হন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে। মানবাধিকার রক্ষার সার্বজনীন আন্দোলনের কর্মী হিসেবে সৌদি আরবে শিরোচ্ছেদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ আওয়াজ তুলে অনেকেরই নজরে আসেন তিনি। দেশে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে গণতান্ত্রিক সরকারের সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়েও কাজ করেছেন। তারপর ব্যক্তিগত অভিমান থেকে ১৯৯৬ সালে দেশ ছাড়েন ।  জার্মানির  বার্লিন হয়ে চলে আসেন ফ্রান্সে। প্যারিস থেকে বহু দূরে। সুইজারল্যান্ড সীমান্ত ঘেঁষা এই শহরে। সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেন তিনি। উদ্যোগ নেন ব্যবসার। নতুন আইডিয়ায় শুরু করলেন ফার্স্ট ফুডের ব্যবসা।

ইউরোপে মদ ছাড়া কল্পনাই করা যায় না কোনো খাবারের দোকান।  নতুনত্ব  নিয়ে  মদ ছাড়াই চালু করলেন খাবারের প্রতিষ্ঠান। অনেকের কাছেই বিষয়টি ছিল বিস্ময়কর। এখন তিনটি রেস্টুরেন্ট ও বেশ কয়েকটি বাড়ির মালিক তিনি। এছাড়াও বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে স্থানীয় শেয়ার বাজার, রিয়েল এস্টেট সেক্টরে। জীবন সঙ্গী ফেনীর হামিদা আক্তার বিলু। আর দু’টি সন্তান রোয়ান (১৩) সারা (১১) কে নিয়েই প্রবাস জীবন তার।

তিনি বলেন, দেশের জন্য মায়া হয়। মনটা যখন ছুটে যায় তখন দেহ নিয়ে বেশ শুন্যতা অনুভব করি। দেশের কিছু মানুষকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। আমাদের সুখে-দুখে মিলেমিশে এখানে তৈরি করেছি বাঙালি একটি সমাজ। মনে পড়লেই পরস্পরের কাছে ছুটে আসি। হৃদয়ে এভাবেই বাংলাদেশকে অনুভব করি। এটাই আমার দেশপ্রেম। -বাংলানিউজ২৪.কম