পানাহার একটি ইবাদত। ইবাদত হতে হবে আল্লাহর রাসূলের তরিকানুযায়ী।
আয়শা (রাঃ) বলেন, হুজুর (সাঃ) ইন্তেকালের পর ইসলামে সর্ব প্রথম যে বিদাতের প্রচলন শুরু হয়, তা হলো উদরপূর্তি করে খাদ্য গ্রহন ।
আল্লাহর রাসূল বলেন 'মানুষের জন্য কোমর সোজা রাখার জন্য কয়েক লোকমা (সামান্য) খানাই যথেষ্ট। আর যদি একান্তই বেশী খাওয়ার আবশ্যক হয়, তবে পেটের এক তৃতীয়াংশ খাবার, এক তৃতীয়াংশ পানি এবং এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখবে । (তিরমিযী)
খায়রুল কুরুনের জামানায় মদীনা শরীফে ডাক্তারগন হাতের উপর হাত রেখে বসে থাকত। এমনকি এক ডাক্তার নবী করিম (সাঃ) এর নিকট এই অভিযোগ নিয়ে এল যে কোন রোগীই তার নিকট যায় না। তখন নবী করিম (সাঃ) বললেন সম্ভবত এর কারণ এই যে, এই সকল লোকেরা সে পর্যন্ত খানার প্রতি হাত বাড়ায় না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা তীব্র ক্ষুধা অনুভব করে। আর পরিপূর্ণরূপে পেট ভরার পুর্বেই খানা খাওয়া ছেড়ে দেয়। তাই মনে করা হয় যে, কম খাওয়ার কারণেই তাদের সুস্থ্যতা বজায় আছে। - তিব্বে নববী
ইমাম গাজ্জালীর মতে কিছু খানা খাওয়ার পর আরও কিছু খানা খাওয়া যায়, এমতাবস্থায় আর না খাওয়াই হচ্ছে কম খাওয়া ।
আল্লাহ বলেন, হে বনী আদম প্রত্যেক ইবাদতের সময় তোমরা সুন্দর পোশাক পরিধান কর। আর খাও ও পান কর কিন্তু সীমালংঘন কর না। (সুরা আরাফ, ৩১ নং আয়াত)।
আল্লাহর রাসূল বলেন, যখনই যা খাওয়ার ইচ্ছা হয়, তখনই তা খাওয়াই হচ্ছে সীমালংঘন। - ইবনে মাজা
এখানে কোরআনে যেই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে সীমালংঘন বা অপচয় বুঝাতে। এই হাদীসেও সেই শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
আমাদের মধ্যে তিন বেলা খাবারের মাঝে এটা সেটা, একটু-আধটু, যখন-তখন আমাদের মনে যা চায় তাই আমরা খেয়ে থাকি। আমি মনে করি আল্লাহর রাসূল এই খাবারের কথাই বুঝাতে চেয়েছেন।
বিখ্যাত আরবীয় চিকিৎসক হারিছ ইবনে কালদাহ বলেন, Best Medicine -- Necessity (Hunger). Disease -- entry of food upon food.
ইবনে সীনা বলেন, Never have a meal until the one before it has been digested.
ওমর (রাঃ) বলেন, Avoid potbelly for it spoils the body, causes disease and makes doing prayer tiring.
আল্লাহর রাসূল বলেন, আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম যুগ আমার যুগ। অত:পর তৎসংলগ্ন যুগের অধিবাসীদের যুগ। অত:পর তৎসংলগ্ন অধিবাসীদের যুগ। তারপর তোমাদের পরে এমন এক জাতির আবির্ভাব ঘটবে যারা সাক্ষ্য দিবে অথচ তাদের কাছে সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা হবে আমনত ভঙ্গকারীর দল, আমানত রক্ষাকারী তারা হবে না। তারা (বিপদে পড়ে) মান্নত করবে, কিন্তু তা পূর্ণ করবে না। তাদের (শরীরে) মেদ বৃদ্ধি পাবে। -বুখারী ও মুসলিম ।
প্রখ্যাত দার্শনিক ইমাম গাজ্জালী ধীরে ধীরে কম খাওয়ার অভ্যাস করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ।
আল্লাহর রাসূল ও সাহাবিগন সাধারনত দুইবেলা খেতেন, একবার দিনে আর একবার রাতে। রাতের খাবার এশার নামাযের পূর্বে খেতেন। দিনের বেলা খাবারের সময়ের ব্যাপারে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না। তবে চাশতের নামাযের পর ঘরে ফিরতেন। ঘরে ফিরে খাবারের জোগাড় থাকলে খেতেন নতুবা রোজার নিয়ত করতেন। সম্ভবত এটাই ছিল তার দিনের বেলার প্রধান খাবার বা দুপুরের খাবার। যা আমাদের সময়ে আনুমানিক ৯ টা থেকে ১০ টা। কিন্তু শুক্রবার ছিল ব্যাতিক্রম। সাহাবিগন শুক্রবার বা জুমার দিন আগে আগে মসজিদে যেতেন এবং জুমার নামাজের পর খাবার খেতেন।
সকালের নাস্তার ব্যাপারে তেমন কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তবে একটি বর্ণনায় মধু খাওয়ার কথা উল্লেখ আছে, যা আল্লাহর রাসূল পানিতে মিশিয়ে পান করতেন। - মাদারেজুন্নবুয়াত
মাগরিবের পর রাতের খাবার খাওয়াই ছিল আল্লাহর রাসূলের সুন্নত। আল্লাহর রাসূল রাতের খাবার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেছেন; রাতের খাবার গ্রহন করবে পরিত্যাগ করবে না, যদিও তা এক মুঠো খেজুরও হয় (সামান্য খাবার হউক না কেন)।
রাসূল (সাঃ) বলেন, “খাবার হাজির এবং মাগরিবের নামাজের ওয়াক্তও হয়ে গেছে, মাগরিবের নামাজ পড়ার আগে খাবার খেয়ে নাও এবং খাবারে তাড়াহুড়া করিও না "। - তিব্বে নববী
এখানে আগে ক্ষুধা নিবারণ এবং সেই সাথে ক্ষুধা নিবারণ করতে গিয়ে তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করা হয়েছে।
হযরত ওয়াহশী ইবনে হরব (রাঃ) বর্ণনা করেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), আমরা পানাহার করি, কিন্তু তপ্ত হই না। নবী করিম (সাঃ) বললেন, সম্ভবত: তোমরা পৃথক পৃথকভাবে খাও। তারা বললেন জি হ্যাঁ। অত:পর নবী করিম (সাঃ) বললেন তোমরা একত্রে খানা খাও এবং খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ কর। এতে তোমাদের খানায় বরকত হবে। - আবু দাউদ ও মাজাহ
সুন্নাত হলো খাওয়ার পূর্বে দুই হাত ধৌত করা ও কুলি করা এবং ধৌত করে কোনো কাপড় বা তোয়ালে দ্বারা হাত মোছা। খাওয়ার পরও হাত ধোয়া ও কুলি করা। - তিব্বে নববী।
খাওয়ার সময় নবী করিম (সাঃ) দুই হাটু ভাঁজ করে স্বীয় কদম যুগলের উপর বসতেন। আবার দুই হাটু তুলে বা ডান পা খাড়া করে বাম পায়ের উপর বসেও আহার করতেন অর্থাৎ বিনয়ের সাথে বসে খেতেন।
রাসূল (সাঃ) কোন ব্যক্তিকে উপর হয়ে শুয়ে আহার গ্রহন করতে নিষেধ করেছেন। - মাজাহ।
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, খানা হাজির করা হলে তোমরা তোমাদের পাদুকা (জুতা/স্যান্ডেল) খুলে রাখ। কেননা তাতে পায়ে প্রশান্তি আসে। - মাজাহ, মেশকাত।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী করিম (সাঃ) বলেন, তোমাদের প্রত্যেকে যেন ডান হাতে খায়, ডান হাতে পান করে, ডান হাত দিয়ে গ্রহন করে এবং ডান হাত দিয়ে দান-খয়রাত করে। কারণ শয়তান বাম হাত দিয়ে খায়, বাম হাত দিয়ে পান করে, বাম হাত দিয়ে দেয় এবং বাম হাত দিয়ে গ্রহন করে। - মাজাহ
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যেন বাম হাত দিয়ে আহার না করে। ডান হাতে ভাত খাওয়ার সময় পানি পান করতে বাম হাতে ধরে ডান হাতের উপর ঠেস দিয়ে পান করা যায় এবং অন্যাবস্থায় দুই হাতে ধরে পান করতে হবে।
হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রৌপ্য পাত্রে পান করে সে যেন তার পেটের মধ্যে দোজখের আগুন গলাথঃকরন করল। মুসলিম শরীফের বর্ণনায় রৌপ্য ও স্বর্নের পাত্রে পানাহার করার নিষিদ্ধের কথা উল্লেখ আছে ।।
হযরত মেকদাম ইবনে মাদী কারাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা তোমাদের খাদ্য দ্রব্য মেপে নিবে (যতটুকু খাবে) তাতে তোমাদের জন্য বরকত হবে ।
হযরত আসমা (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসুল (সাঃ) এর নিকট যখন গরম খাদ্য উপস্থিত করা হত তখন (ধোয়া উঠতেছে এমন খাবার) তিনি এর গরম বাম্প নিঃশেষ হওয়া পর্যন্ত ঢেকে রাখতেন। -দারেমী, মাদারেজুন্নবুওয়ত পানাহার কালে কথাবার্তা বলা নিষেধ নয় । খাবার গ্রহন কালে রাসূল (সাঃ) নিজে কথা বলছেন বলে প্রমান পাওয়া যায়। তবে মুখের ভিতর খাবার রেখে কথা বলা নয় । খানা খাওয়ার সময় একবারে চুপ থাকা মাকরুহ। এজন্য খাওয়ার ফাকে ফাকে কথা বলা উত্তম।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) কখনো কোন খাবারের ত্র“টি ধরতেন না। রুচি হলে তিনি তা খেতেন, অন্যথায় তিনি তা রেখে দিতেন। - মুসলিম শরীফ
হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি খানা খাওয়ার পর প্লেট চেটে খায় (আঙ্গুল দিয়ে) ঐ প্লেট তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। - ইবনে মাজাহ
আহারের পর পানি পান করা, রাসূল (সাঃ) এর সুন্নত নয়; কিছু সময় অতিক্রান্ত করে পানি পান করা ভাল। - যাদুল মায়াদ
আমরা আহারের পর ১-২ গ্লাস পানি পান করি। আমি বলব, আহারের শেষে ১-২ ঢোক পান করে বরং কিছু সময় পর অর্থাৎ আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা পর পানি পান করা উত্তম।
বসে পানি পান করা আল্লাহর রাসূলের সুন্নত। তিনি দাঁড়ানো অবস্থায় পানি পান করতে নিষেধ করেছেন (যমযমের পানি ব্যতিত)। তিনি একহাতে পানি পান করতেও নিষেধ করেছেন। - যাদুল মায়াদ
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) দাঁড়িয়ে পান করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন (যমযমের পানি ব্যতিক্রম)। -মাজাহ
নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেন, তোমাদের মধ্যে কেউ যখন পানি পান করতে চায় সে যেন চুমুখ দিয়ে পানি পান করে এবং পশুর মত পানিতে মুখ লাগিয়ে পান না করে। - বায়হাকী, যাদুল মায়াদ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাঃ) বলেন তোমাদের মধ্যে কেউ যখন পানি পান করে, সে যেন পান পাত্রে নি:শ্বাষ ত্যাগ না করে। তবে সে যদি নি:শ্বাষ ছাড়তে চায় তাহলে যেন মুখ থেকে পাত্র সরিয়ে নেয়। অত:পর আরও পান করতে চাইলে পাত্র থেকে আবার পান করে। - ইবনে মাজাহ।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আহার শেষ করেই শুয়ে পড়তে নিষেধ করেছেন। কারণ এতে শরীর মন ভারী হয়ে যায়। - যাদুল মায়াদ।
এই হাদীসটি দুপুরের পর কায়ইলুল্লাহর সাথে সাংঘর্ষিক নয়। কায়ইলুল্লাহ হচ্ছে বিশ্রাম বা স্বল্প সময়ের হালকা ঘুম (NAP)। এই তন্দ্রা (NAP) ১৫ মিনিট বা ১০ মিনিট বা তার চেয়ে কম সময়ের। ৩০ মিনিট অতিক্রম করলেই আপনি গভীর ঘুমে প্রবেশ করবেন এবং তাতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লেগে যাবে এবং সেটা হবে খাওয়ার পর ঘুম, যা আল্লাহ রাসূলের সুন্নত নয়। কায়ইলুল্লাহ (NAP) করা যাইতে পারে চেয়ারে হেলান দিয়ে বা টেবিলে মাথা রেখে বা বিছানায় শুয়ে ।
আল্লাহর রাসূলের প্রিয় বরকতময় কিছু খাদ্য; লাল আটার রুটি, ভুনা গোশত (সামনের রান ও ঘাড়ের গোশত), । লাউ, খেজুর, ডুমুর ফল, তরমুজ, সিরকা, মধু, মিঠা পানি (ঠান্ডা), যয়তুনের তৈল। রাসূল (সাঃ) সাহাবীগনকে বলেন, তোমরা কাচা পেয়াজ খাবে না । - ইবনে মাজাহ কোন কোন বর্ণনায় কাঁচা রসুনও এর অন্তর্ভুক্ত। তবে অন্য এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমাদের জন্য অনুমতি দিয়েছে তবে তার নিজের জন্য নয়।
আল্লাহ বলেন “বৈধ করা হয়েছে পাক-পবিত্র বস্তু গুলোকে এবং নিষিদ্ধ করা হয়েছে অপবিত্র জিনিস গুলোকে। - সুরা আরাফ, ১৫৭।
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) জাল্লালার গোশত এবং দুধ পান করতে নিষেধ করেছেন। -তিরমিযি।
কোন উট, গরু, ছাগল, মোরগ-মুরগি ইত্যাদি হালাল প্রানী যদি পায়খানা খেতে অভ্যস্থ হয় এবং এতে তার শরীররে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয় তবে এইরূপ প্রানীকে জাল্লালাহ বলে।।
ইবনে উমর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি নবী করীম (সাঃ) কে বলতে শুনেছি প্রতিটি নেশা উদ্রেককারী দ্রবই নিষিদ্ধ। - তিরমিযি ।
জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, যে দ্রব্য বেশী পরিমাণে নেশা সৃষ্টি করে তার সামান্য পরিমাণও হারাম। -তিরমিযি
আমি কোরআন নাযিল করেছি যা ঈমানদারদের জন্য শেফা (আরোগ্য) ও রহমত স্বরূপ।
-বনী ইসরাইল, ৮২ নং আয়াত
রাসূল পাক (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, 'সুরা ফাতিহা প্রত্যেক রোগের জন্য শেফা' - তিব্বে নববী ।
হযরত উসমান ইবনে আবু দাহরেশ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলিয়াছেন, আল্লাহ তায়ালা বান্দার সেই আমলই কবুল করেন, যেই আমলে দেহের সাথে মনও শামিল থাকে।
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী করিম (সাঃ) ঘরে প্রবেশ করে এক টুকরো রুটি পড়ে থাকতে দেখেন। তখন তিনি তা তুলে নিয়ে ধুলাবালি ঝেড়ে খেয়ে ফেলেন এবং বলেন; হে আয়শা, সম্মান কর সম্মানিতদের (আল্লাহর দেওয়া রিযিকের)। কারণ কোন জাতির নিকট থেকে আল্লাহর দেওয়া রিজিক উঠে গেলে তা পুনরায় তাদের নিকট প্রত্যার্বন করেন না। - মাজাহ
আমি যা বুঝলাম, পানাহার সম্বন্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দর্শন তা হলো ক্ষুধা না লাগলে না খাওয়া সেটা যে সময়ই হউক, এমনকি খাওয়ার সময় হলেও। আর যখন খাবার খাবেন, তখন তা পেট পুরে না খাওয়া, কিছু খালি রাখা। যখন তখন এটা-সেটা মনে যা চায় (এমনকি বিস্কুট, চা, কফি, ক্লোড ড্রিংক, ডাবের পানি ) খাওয়া নিষিদ্ধ (পানি ব্যতিত)।
বি:দ্র: পানি হজম করতেও হয় না এবং পানিতে কোন গ্লুকোস নেই, যা আইলেট সেলকে স্টিমুলেট করবে ।।
যদি কিছু খেতে মনে চায়, তা পরবর্তী খাওয়ার ওয়াক্তে খাওয়ার সাথে খাওয়া। রাতের খাবার অবশ্যই তাড়াতাড়ি খেতে হবে। খাওয়া এবং ঘুমাইতে যাওয়ার মধ্যে ২ - ৩ ঘন্টার ব্যবধান থাকা ভাল। আমাদের অবশ্যই হালাল এবং পবিত্র খাদ্য খেতে হবে। পানি পান করতে হবে, বসে গ্লুকোস নিয়ে চুমুক দিয়ে । দাঁড়িয়ে বোতল উল্টে ধরে মুখে ঢেলে পান করা মোটেই স্বস্তিকর নয়। আমাদের অনেক ড্রিংকস বাজারে আছে, যেগুলোতে অল্প পরিমাণে এলকোহল আছে, যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
লিখাটা লিখতে গিয়ে আমি আমার সাধ্যানুযায়ী নির্ভুলভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তারপরও কেউ যদি কোন। জায়গায় অসংগতি পান, তাহলে আমাকে এই নম্বরে ০১৮১৯-১৪৮৯৭৩ ঝগঝ করুন। আমি যাচাই-বাছাই করে দেখব।
(ডা: মো: শামছুল হুদা)
সহকারী অধ্যাপক, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ