জাপানের উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকা

প্রকাশের সময় : 2020-03-11 12:33:32 | প্রকাশক : Administration জাপানের উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকা

মঞ্জুরে খোদা টরিকঃ জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকেই স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য অভ্যাসের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যালয় থেকেই ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উপযুক্ত, মানসম্পন্ন ও সুষম খাদ্য সরবরাহ করা হয়।

শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে বসে সহপাঠী ও শিক্ষকের সঙ্গে দুপুরের খাবার গ্রহণ করে। এই প্রবণতা ও পরিবেশ ছাত্র-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক ও প্রাণবন্ত সম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রাখে। শিক্ষার্থীদের উদরপূর্তির জন্যই কেবল এই খাবার প্রদান করা হয় না। এ ক্ষেত্রে আছে সরকারের সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি ও সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য যার অংশ হিসেবে জাপানজুড়ে এ বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

অল্প কথায় যে বিষয়গুলো হচ্ছে: ক) শিশুদের সুষম শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটানো। খ) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শিশুদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করা। গ) স্কুলের খাবার শিশুদের মধ্যে জীবনব্যাপী সঠিক খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করা। ঘ) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করা। ঙ) সামাজিক শৃঙ্খলা, সমতা ও অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখা।

এটা আমাদের সবার জানা যে জাপানিদের শারীরিক আকৃতি তুলনামূলকভাবে কম। যদিও তারা অসম্ভব তেজী ও কঠোর পরিশ্রমী। নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়নের পর ১৯৫৪ সালে প্রণীত ‘বিদ্যালয় খাদ্য আইনে’ সরকার সব শিক্ষার্থীর জন্য সুষম খাবার পরিবেশনের পরিকল্পনা হাতে নেয়। যাতে করে সব শিশুর যথাযথ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ও বৃদ্ধি ঘটে এবং যে সব খাদ্য শিশুরা ভোগ করলে, গ্রহণ করলে তাদের শারীরিক গড় উচ্চতা বৃদ্ধি পায়, এমন একটা উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনাও এর অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

সেই হিসেবে তারা পরিকল্পিতভাবে খাদ্য সরবরাহ করা শুরু করেছিলো এবং তার ফলশ্রুতিতে তিন দশক পরে (১৯৪৮-৭৫) দেখা যায় জাপানি ছেলেমেয়েদের গড় উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে বালকদের গড় উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১০.৩ সেন্টিমিটার (১২৬.১-১৩৬.৪) এবং বালিকাদের বৃদ্ধি পেয়েছে ১১.৯ সেন্টিমিটার (১২৫.৭-১৩৭.৬)। (Hiromi Ishida: ২০১৫)। - ফেসবুক থেকে