সংগ্রহেঃ মুশফিকুর রহমান শিহাব
চাকুরী ইন্টারভিউঃ
চাকুরির জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছে এক ব্যক্তি
প্রশ্নকর্তা: আপনার জব হিস্ট্রিতে দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েক বছরের গ্যাপ!
বল্টু: তাতে কি সমস্যা আছে কোনো, স্যার?
প্রশ্নকর্তা: মানে আমরা জানতে চাইছি ওই সময়টায় আপনি কী করেছেন, কোথায় ছিলেন?
বল্টু: জেল খাটছিলাম।
প্রশ্নকর্তা: অ্যাঁ! বলেন কী! তা কোন অপরাধে?
বল্টু: এর আগের ইন্টারভিউ শেষে যে লোক বলেছিল, ‘আপনাকে পরে ফোনে জানাবো আমি তাকে খুন করেছিলাম!
প্রশ্নকর্তা: ‘ওরে বাপরে’ বলে দাঁড়িয়ে গেলেন। তোঁতলাতে তোঁতলাতে বললেন; কিসের আবার পরে ডাকাডাকি! আপনি এ...এ...এখনি জয়েন করুন আমাদের অফিসে। ওয়েলকাম স্যা...স্যা...স্যার!
জেলখানায় নতুন বন্ধুঃ
জেলখানায় পুরনো আর নতুন দুই কয়েদিতে দোস্তি হয়ে গেল। দুজনে গল্প করছে।
পুরনো কয়েদিঃ তোমার মতো ভাল মানুষ ধরা খাইলা কেমনে?
নতুন কয়েদিঃ ব্যাংক লুটতে গেছিলাম। তো টাকার বস্তা নিয়ে ওখানেই গুণতে বসে যাই।
পুরনো কয়েদিঃ কী আশ্চর্য! এ কাজ করতে গেলে কেন!
নতুন কয়েদিঃ কী করবো! সামনেই দেখলাম লেখা; কাউন্টার ত্যাগ করার আগে টাকা গুণে নিন। পরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না!
বল্টুর রেজাল্টঃ
পরিবারে এবং স্কুলে ‘মাথা মোটা’ হিসেবে উপাধি পাওয়া বল্টু বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট আনতে যাচ্ছে। বাড়ির পরিস্থিতি তাই থমথমে। বের হওয়ার মুখেই সদর দরোজায় বল্টুর দেখা হয়ে যায় বাবা রমিজ উদ্দিনের সঙ্গে-
রমিজ : এইবারও যদি ডাব্বা মারছোস... তাইলে কইলাম আমারে আর ‘বাবা’ বলে ডাকবি না!
স্কুল থেকে বল্টু ফিরে কারও সঙ্গেই কথা বলছে না।
বদমেজাজি হিসেবে খ্যাত রমিজ সাহেব ছুঁটে এলেন ছেলের ঘরে
রমিজঃ রেজাল্টের খবর কি?
বল্টুঃ নতুন করে আর কী বলবো, “রমিজ ভাই”।
খেলাধুলা স্বাস্থ্যের জন্য ভালোঃ
শিক্ষকঃ খেলাধুলা করা স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো। তোমরা প্রতিদিন খেলাধুলা করবে।
মন্টুঃ জ্বী স্যার! আমি প্রতিদিন ফুটবল, ক্রিকেট, আর টেনিস খেলি।
শিক্ষকঃ শাব্বাস! গুড বয়, প্রতিদিন কয় ঘণ্টা করে খেল বল দেখি?
মন্টুঃ মোবাইলের চার্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত, স্যার।