সুশীল সমাজ কোথায়?
প্রকাশের সময় : 2019-11-21 11:59:04 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে গিয়ে লাশ হলো রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার। কর্তৃপক্ষ একটু তৎপর হলে হয়তো বেঁচে যেত সে। আবরারকে সময়মতো হাসপাতালে না নিয়ে অনুষ্ঠান নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিল কিশোর আলো কর্তৃপক্ষ। তাদের এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতাই কেড়ে নিল মেধাবী এই ছাত্রের প্রাণ। আমরা সবসময়ই দেখি যে, এ ধরনের যে কোনো ঘটনা ঘটলে আমাদের দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ সরব হয়।
বিভিন্ন টক শো-এ গিয়ে কথা বলে। বক্তব্য-বিবৃতি দেয়। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করে। কিন্তু নাইমুল আবরারের মৃত্যুর (নাকি হত্যাকাণ্ড) পর এই সুশীল সমাজের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। যেকোনো অন্যায় অসঙ্গতি দেখলে যারা সরকারের মুণ্ডপাত করতে শুরু করেন, আবরারের মৃত্যুর পর তাদের মুখ থেকে টু শব্দটিও বের হচ্ছে না। ডাকাবুকো বুদ্ধিজীবীরা কেন এমন নীরব দর্শক হয়ে গেলেন? এটা কী এ কারণেই যে পুরো ঘটনাটার পেছনে আছে ‘প্রথম আলো’? প্রথম আলো’র সঙ্গে সুশীল সমাজের যে একটা মাখোমাখো সম্পর্ক আছে এটা কারোরই অজানা নয়। এমনটাও শোনা যায় যে, প্রথম আলোই অখ্যাত, অযোগ্য অনেককে ধরে এনে একটু একটু করে ‘বুদ্ধিজীবী’ তকমা তাদের গায়ে জড়িয়ে দেয়। এসব কারণেই কি আমাদের সুশীলরা এখন কাঠের পুতুল হয়ে গেছেন?
সুশীল সমাজ যে কোনো দেশের গণতন্ত্র এবং অগ্রযাত্রার পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তারা সত্য এবং ন্যায়ের পথে থাকবেন, অন্যায়-অসঙ্গতি দেখলে প্রতিবাদ করবেন সেটাই আশা করে সবাই। কিন্তু এই সুশীল নামধারীরাই যদি স্বার্থান্বেষী চাটুকার হয়ে পড়েন সেটা পুরো জাতির জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। - সূত্রঃ আমাদের সময় ডটকম