তাওবা যৌবনে করাই অতীব উত্তম
প্রকাশের সময় : 2020-02-12 12:48:34 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ মমাগফিরাত পেতে আমাদের খাঁটি মনে তাওবা করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো খাঁটি তাওবা।’ অন্যত্র ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তাওবাকারীদের পছন্দ করেন।’ তাওবার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘তাওবাকারী আল্লাহর প্রিয়। গুনাহ থেকে তাওবাকারী ওই ব্যক্তির মতো যার কোনো গুনাহ নেই।’ অন্য এক হাদিসে রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘যৌবন বয়সে তাওবাকারীকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন।’ আল্লাহর সামনে নতি স্বীকার করা ও কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত হওয়া এবং আর কখনো গুনাহ না করার প্রতিজ্ঞা করার নাম তাওবা। আল্লাহ তায়ালা বান্দার কাছে এটাই চান। রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘কৃতকর্মের ওপর অনুতপ্ত হওয়ার নামই তাওবা।’
অন্য হাদিসে রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, ‘বান্দা যখন স্বীয় কৃত গুনাহের কথা স্বীকার করে তাওবা করে, আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন।’ রাসুল (সাঃ) আরো বলেছেন, ‘সুসংবাদ ওই ব্যক্তির জন্য, যার আমলনামায় ইস্তেগফার অর্থাৎ ক্ষমা চাওয়ার সংখ্যা বেশি।’ তাই এ মাহেন্দ্রক্ষণে জীবনের সব গুনাহর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এমনটি ভাবা যাবে না যে, অতীতের গুনাহর জন্য ক্ষমা চেয়েছি, এখন আর প্রয়োজন নেই। বরং যত বেশি আল্লাহর দরবারে তাওবা ও ক্ষমা চাওয়া হবে আল্লাহ তত বেশি খুশি হবেন। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা করো, কারণ আমি প্রতিদিন শতবার তাঁর কাছে তাওবা করি।’
তাই মৃত মা-বাবার জন্যও দোয়া করব, তাঁদের গুনাহ ক্ষমা চাইব, আত্মীয়স্বজনের জন্যও দোয়া করব। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘কবরে মৃত ব্যক্তি হচ্ছে সেই ডুবন্ত সাহায্য প্রার্থীর ন্যায় যে তার মা-বাবা, ভাই বা বন্ধু থেকে সাড়া দেওয়ার অপেক্ষায় থাকে। যখন সাড়া পেয়ে যায়, তখন তা তার কাছে দুনিয়া ও দুনিয়ার সব কিছু থেকে বেশি প্রিয় মনে হয়, আর আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াবাসীর দোয়াকে কবরবাসীর কাছে পাহাড়ের ন্যায় রহম ও মাগফিরাতরূপে পেশ করেন, আর জীবিতদের পক্ষ থেকে মৃতদের জন্য হাদিয়া হলো, তাদের জন্য ইস্তেগফার অর্থাৎ ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের নিজেদের জন্য এবং মৃতদের জন্য বেশি বেশি ইস্তেগফার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।