বাঘের মুখেও প্লাস্টিক ড্রাম!
প্রকাশের সময় : 2020-09-03 17:05:41 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে সচেতন মহলে সবসময় উদ্বেগ দেখা যায়। তবে কমছে না এর ব্যবহার। বরং দিন দিন বেড়েই চলছে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ। প্লাস্টিক ব্যবহার সীমিত ও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা যেমন একদিকে চলছে তেমনি তা ব্যবহারে সচেতনের প্রয়াস চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও যেখানে-সেখানে প্লাস্টিকের বোতল বা মোড়ক ফেলা বন্ধ হচ্ছে না। বনে, জঙ্গলে বা সমুদ্রে অবিবেচকের মতো প্লাস্টিক পণ্য ফেলায় জীবন দিতে হচ্ছে বন্যপ্রাণী বা সামুদ্রিক জীবদের।
এবার বাঘের মুখেও পৌঁছে গেছে প্লাস্টিক বর্জ্য। সম্প্রতি ভারতের জিম করবেট জাতীয় উদ্যানের রামগঙ্গা নদী তীরে প্লাস্টিকের ড্রাম মুখে বাঘিনী ও তার শাবকের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা।
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে বাঘের মুখে প্লাস্টিক বোতলের একটি ছবি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তখনও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছিল। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৩৬ সালে বাংলার বিপন্ন বাঘ রক্ষার জন্য ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের নৈনিতাল এবং পৌড়ী গাড়োয়াল জেলায় জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে টাইগার রিজার্ভ (সিটিআর) প্রতিষ্ঠা করা হয়। খোদ বাঘ সুরক্ষা কেন্দ্রে প্লাস্টিক বর্জ্যে বাঘের জীবন হুমকির মুখে পড়ায় এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন।
টাইগার রিজার্ভের পরিচালক জানিয়েছেন, ‘একদল পর্যটক আমাদের হাতে বাঘিনী ও তার শাবকদের ড্রাম চিবানোর ছবি তুলে দিয়েছেন। আমরা এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। কিছুদিনের মধ্যেই রিপোর্ট পেয়ে যাব।’
তিনি বলেন, করবেট রিজার্ভ প্লাস্টিক-ফ্রি জোন। এমনকি পর্যটকদের কোনো প্লাস্টিকের জিনিস নিয়ে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয় না। এমন কড়াকড়িতে কীভাবে নদীতে প্লাস্টিকের ড্রাম ভেসে এল তা তারা অনুসন্ধান করছেন।
তিনি আরও বলেন, প্লাস্টিকের ড্রাম চিবানোর কারণে বাঘিনী ও তার শাবকদের আচরণে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি-না তা নিশ্চিত হতে তাদের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন নজরে পড়েনি। - সুত্রঃ অনলাইন