কয়েকটি রোগের বিভিন্ন পরামর্শ ডাঃ নাজমুল হুদা
প্রকাশের সময় : 2020-09-03 17:06:58 | প্রকাশক : Administration
ভুষি সহ লাল আটা
সকাল ৮টায় রুটি ২/৩ টি
সবজী ১ বাটি
চা (চিনি ছাড়া)
সকাল ১০টাঃ
ডায়াবেটিক বিস্কুট ২-৩ টি
চা (চিনি ছাড়া)
দুপুর ২টাঃ
ভাত মেপে মেপে (১ কাপ - ২ কাপ)
সবজী
মাছ/মুরগী ১ পিস
সন্ধ্যা ৬টাঃ
মুড়ি ১ কাপ / বিস্কুট ২ টি
চা (চিনি ছাড়া)
ফল (মিষ্টি ফল খাবেন না)
রাত ৮টাঃ
রুটি ২/৩ টি
মাছ / মাংস ১ টুকরো
সালাদ ১ বাটি
অতিরিক্ত পরামর্শঃ চিকিৎসকের নিদের্শ মত হাঁটতে হবে ।
.......১/২......... ঘন্টা (১ বা ২ বেলা)।
নিষেধঃ
ভাজা, ভূনা
তৈলাক্ত খাবার
পোলাও কোরমা, মোগল খাবার
দুধ, সর, ঘি, মাখন, চর্বি, ইলিশ, গরু, খাসী, কলিজা, মগজ, হাড্ডি মাথা, নারকেল, ডিমের কুসুম।
খাবেনঃ
সিদ্ধ আটার রুটি
তরকারী সিদ্ধ (লাবড়া)
কম তেলের মাছ, ছোট মুরগী
(কম তেল, কম মসলা ঝোল করে)
লাল চা (ঠান্ডা)
শরবত/মুড়ি, খই, মোয়া, তাজা পাউরুটি, জ্যাম/জেলি।
হাঁটুর ব্যাথার রোগীর জন্য পরামর্শ
১। হাঁটু ভাজ করে কোন কাজ করবেন না।
২। চেয়ারে বসে নামাজ পড়বেন।
৩। উঁচু পায়খানা/হাই কমোড ব্যবহার করবেন।
৪। রান্নার সময় উঁচু মোড়া বা চেয়ার ব্যবহার করবেন।
৫। নরম স্যান্ডেল ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত উঁচু স্যান্ডেল বা জুতো পড়বেন না।
৬। একটানা দীর্ঘক্ষন বসে থাকবেন না বা হাঁটবেন না।
৭। উঁচু নিচু জায়গায় হাঁটাহাঁটি করবেন না ।
৮। সিঁড়িতে, রিক্সায় বা গাড়ীতে ওঠার সময় যে হাঁটুতে ব্যথা কম তা আগে দিবেন। নামার সময় বেশি ব্যাথার হাঁটু আগে ফেলবেন।
৯। প্রয়োজনে যে হাঁটুতে ব্যাথা তার বিপরীত হাতে হাঁটার সময় লাঠি ব্যবহার করবেন।
১০। ব্যাথাযুক্ত হাঁটুতে কোন কিছু মালিশ করবেন না।
১১। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর পদক্ষেপ নিবেন।
১২। চিকিৎসকের দেখানো ব্যায়াম নিয়মিত দিনে ২ বার করবেন।
১৩। চলাচলের সময় Knee cap ব্যবহার করবেন।
কোমর ব্যাথার রোগীর জন্য পরামর্শ
১। শক্ত (Firm), সমান বিছানায় শোবেন, সোফায় শোবেন না।
২। টানা বেশিক্ষন দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না।
৩। চেয়ারে বসার সময় ঘাড় ও পিঠ সোজা রেখে বসবেন।
৪। মেঝে থেকে কোন জিনিস তোলার সময় সোজা হয়ে বসে তারপর তুলবেন।
৫। ঝুকে বা মেরুদন্ড বাঁকা করে কোন কাজ করবেন না।
৬। বেশি ওজনের থলি বা পানি ভর্তি বালতি বহন করবেন না।
৭। পিড়িতে বসে কোন কাজ করবেন না ।
৮। টিউবওয়েল চেপে পানি ওঠাবেন না।
৯। চেয়ারে বসে নামাজ পড়বেন।
১০। উঁচু পায়খানা/হাই কমোড ব্যবহার করবেন।
১১। সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করার সময় মেরুদন্ড সোজা রেখে ধীরে ধীরে উঠবেন ও নামবেন।
১২। মেয়েরা হাইহিল জুতা পরিহার করবেন। (হিল ১.৫ ইঞ্চির কম হতে হবে)।
১৩। মোটা ব্যাক্তিরা ওজন কমাবেন।
১৪। ঘুম থেকে ওঠার সময় যে কোন এককাত হয়ে হাতের ওপর ভর দিয়ে আস্তে আস্তে উঠবেন।
১৫। নিয়মিত শেখানো পদ্ধতিতে ব্যায়াম করবেন, তবে ব্যায়াম শুরুর আগে স্ট্রেসিং করবেন।
১৬। ব্যায়ামের পূর্বে কোমরে গরম স্যাক দিবেন। (মাঝারি গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে, গরম ভেজা তোয়ালে দিয়ে দিনে ৩/৪ বার ১০ থেকে ১৫ মিনিট)।
১৭। চলাফেরার সময় বা গাড়িতে ভ্রমনের সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করবেন।
১৮। বিশ্রামের সময় বা ঘুমের সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করবেন না।
ক্রনিক কিডনী ডিজিজ
১। উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
২। মাছ অথবা মাংস এক টুকরো করে দুই বেলা দুই টুকরো খাবেন।
৩। পাতে লবন খাবেন না।
৪। রক্তে চর্বির পরিমান বেশি থাকলে চর্বি জাতীয় খাবার কম খাবেন।
৫। ক্রনিক কিডনী ডিজিজের রোগীদের সাধারনত: রক্তে পটাসিয়াম বেশী থাকে। তাই পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন -- ডাবের পানি, আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, আনার, আমড়া, কামরাঙ্গা, আমলকি, আঙ্গুর, কমলা, মালটা,
যেসব ফল খাওয়া যাবেঃ
যেমন: পাকা পেঁপে, আনারস, জাম্বুরা, পেয়ারা, নাসপতি, আপেল । রক্তে ফসফেট এর পরিমান বেশি থাকলে দুধ, দই, চিজ, আইসক্রীম, চকলেট, কাষ্টার্ড, বাদাম পরিহার করা উত্তম।