নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান কুমিল্লায়
প্রকাশের সময় : 2020-09-17 17:29:09 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ শ্রীকাইল ক্ষেত্রের নতুন কূপে গ্যাস পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম প্রোডাকশন এ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি (বাপেক্স)। গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাপেক্স। এখান থেকে প্রতি দিন ১২ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন মুজিববর্ষে এটি বাপেক্সের পক্ষ থেকে দেশবাসীর জন্য উপহার।
শ্রীকাইল পূর্ব-১ গ্যাস ক্ষেত্রে এর আগেও চারটি কূপ খনন করা হয়েছে। এরমধ্যে তিনটি কূপ থেকে এখন গ্যাস তোলা হচ্ছে। প্রতিদিন ৩৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। শীঘ্রই এই খনি থেকে সব মিলিয়ে ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হবে। নিজেদের রিগ বসিয়ে রেখে বহুজাতিক কোম্পানিকে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কাজ করানোর বিষয়ে যে অভিযোগ ছিল বাপেক্স এটির মাধ্যমে তা থেকে বের হয়ে এসেছে। গ্যাস কূপটি বাপেক্সই খনন করেছে। এর আগে কসবায় খনন করে গ্যাস না পেলেও শ্রীকাইলে সফলতা পেয়েছে বাপেক্স।
শ্রীকাইল ২০১৭ ও ২০১৮ সালে ত্রিমাত্রিক ভূ-তাত্ত্বিক জরিপে গ্যাস রয়েছে বলে জানা যায়। এরপর ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর নবীনগর উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রাম হাজিপুরে কূপ খনন করার জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে গ্যাস কূপ খনন কাজ শুরু করে বাপেক্স। গত ৪ মার্চ রাত ৮টার দিকে কূপটি থেকে গ্যাসের উদগিরণ শুরু হয়। তবে শুরুতে গ্যাসের সঙ্গে পানি আসাতে বাপেক্স কিছুটা শঙ্কায় ছিল। কূপটিতে গ্যাসের চাপ রয়েছে এক হাজার ৮৮০ পাউন্ড/ইঞ্চি (পিএসআই)। তবে এই কূপে কি পরিমাণ মজুদ রয়েছে তা নিশ্চিত হতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন হবে বলে জানান তিনি।
প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ কবীর জানান, তিন হাজার ৮০ মিটার গভীরতায় গ্যাসর সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এখনও গ্যাসের মজুদ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। আশা করা হচ্ছে অচিরেই গ্যাসের মজুদ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি জানান, শ্রীকাইলে কূপ খনন করার জন্য ৭০ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়েছে। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে বাপেক্স’র পক্ষ থেকে এটি দেশবাসীর জন্য উপহার।
কূপটি খনন করার জন্য কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তে কুমিল্লার মুরাদনগর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর মৌজাতে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রসঙ্গত ২০০৪ সালে প্রথম শ্রীকাইলে গ্যাস কূপ খনন করা হয়। কিন্তু তখন সেখানে গ্যাস পাওয়া যায়নি। পরে ২০১২ সালে শ্রীকাইলে গ্যাস কূপ খনন করে সাফল্য পায় বাপেক্স। একই ভূগঠনে বাঙ্গুরা গ্যাস ক্ষেত্র রয়েছে। এই গ্যাস কূপের কাছাকাছি প্রসেস প্লান্ট রয়েছে। তাই মাত্র ১০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করেই গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। গ্যাস ফুরিয়ে যাওয়ার হতাশার মধ্যে এমন খবরে আশার আলো দেখছে বাপেক্স। - সুত্রঃ অনলাইন