দেশের উন্নয়নে ইস্পাত সাফল্য

প্রকাশের সময় : 2020-10-28 12:22:20 | প্রকাশক : Administration
দেশের উন্নয়নে ইস্পাত সাফল্য

মাসুদ রুমী ও মুহাম্মদ শরীফ হোসেনঃ মেগাপ্রকল্প আর দেশজুড়ে অবকাঠামো নির্মাণযজ্ঞে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে দেশের উন্নয়ন সাফল্য। অব্যাহত এ সাফল্যে সিমেন্টের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে ইস্পাতশিল্প। বড় বড় প্রকল্প, দ্রুত নগরায়ণ এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি এ খাতে বড় চাহিদা তৈরি করেছে। সেই চাহিদা পূরণে বিনিয়োগও বেড়েছে।

দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি চীনসহ আরো কয়েকটি দেশ এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান আরো বাড়বে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং বাড়তি শুল্ককরের বোঝা না চাপানো হলে এই শিল্পকে আরো অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।

২০১৮ সালে দেশে ইস্পাতের মাথাপিছু ব্যবহার ছিল ৪৫ কেজি। ২০২২ সাল নাগাদ এ চাহিদা বেড়ে হবে ৭৩ কেজি। ২০১৬ সালে দেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন ইস্পাত উৎপাদিত হয়। যার বাজারমূল্য ছিল ৩৫৭ কোটি ডলার। ২০২২ সাল নাগাদ এ বাজার হবে দ্বিগুণ। আগামী দুই দশকে দেশের এ খাতে বার্ষিক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হবে। বর্তমানে ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত দেশের সাতটি মেগাপ্রকল্পে বিপুল পরিমাণ ইস্পাতের প্রয়োজন হচ্ছে।

স্টিল ইন্ডাস্ট্রির ১৬ লাখ টন উৎপাদনক্ষমতা বেড়ে এখন হয়েছে বার্ষিক ৫৫ লাখ টন। চলতি বছরটি বাদ দিলে বছরে অন্তত ১৫ শতাংশ করে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। সরকারের অবকাঠামো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে গতি অব্যাহত থাকলে এই শিল্পের সক্ষমতা আরো বাড়বে। ইস্পাতশিল্প হলো একটা দেশের উন্নয়নের হাতিয়ার। বর্তমানে বাংলাদেশে ৪০০ ইস্পাত কারখানা রয়েছে। মোট উৎপাদনক্ষমতা ৯০ লাখ মেট্রিক টন। যদিও দেশের বার্ষিক চাহিদা ৮০ লাখ টন।

আবুল খায়ের, বিএসআরএম ও কেএসআরএম বিলেট সক্ষমতার ৯০ শতাংশের বেশি উৎপাদন করে, যা দেশের বার্ষিক চাহিদার ৫০ শতাংশের বেশি পূরণ করে। এসব কম্পানির পাশাপাশি ইস্পাত উৎপাদনে ব্যবসা বাড়াচ্ছে আনোয়ার গ্রুপ, কেএসআরএম, জিপিএইচ, আনওয়ার, রানি, আরএসআরএমসহ আরো অনেকে।

বাংলাদেশের ইস্পাতের বাজারে জোরালো অবস্থান তৈরি করতে যাচ্ছে চীনারাও। কুনমিং আয়রন ও স্টিল হোল্ডিং কম্পানি (কেআইএসসি) ২৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া পাঁচ থেকে সাত বছরে বাজারের বর্তমান কম্পানিগুলো আরো ৪০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে এ খাতে। গত বছর বিশ্বে অশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয় ১৮৬ কোটি ৯০ লাখ টন। যা ২০১৮ সালের চেয়ে ৩.৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে এশিয়ায় উৎপাদিত হয় ১৩৪ কোটি ১০ লাখ টন। যা আগের বছরের চেয়ে ৫.৭ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি নির্মাণ খাতের আরেকটি প্রয়োজনীয় পণ্য সিমেন্টশিল্পেও ভবিষ্যতে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে এ শিল্পে প্রায় তিন লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। -কালেরকন্ঠ

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com