বাংলাদেশই পরবর্তী চীন
প্রকাশের সময় : 2020-11-11 15:48:36 | প্রকাশক : Administration
আসিফুজ্জামান পৃথিলঃ ৯০ এর দশকে অর্থনীতি খুলে দেবার পর, ভারতের প্রধান লক্ষ্য ছিলো চীনকে পরাজিত করা। ৩ দশকের চেষ্টায় ভারত তো সফলই হয়নি, বরং বাংলাদেশ দ্রুততার সঙ্গে তাদের পেছনে ফেলে দিচ্ছে। ভারতের আর বৈশ্বিক ভাবমূর্তি বলতে তেমন কিছুই থাকছে না। বিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এখন বাংলাদেশ। এমন কথা বলা হয়েছে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের এক বিশেষ প্রতিবেদনে।
পশ্চিমারা চায় চীনের সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বী। নিম্ন মধ্য আয়ের দেশের ফাঁদ থেকে ৩০ বছরেও বের হতে না পারা ভারতকে আর সুযোগ দিতে নারাজ তারা। সবচেয়ে বড় কধা ভারতের আত্মবিশ্বাস এখন শূন্যের কোটায়। তাদের সরকার বা গণমাধ্যম এর সমাধান বের না করতে পেরে বাংলাদেশকে গালাগালি বা অপমানজনক কথা বলাই শ্রেয় ভাবছে। বাংলাদেশের যাতে কিছুই এসে যায় না।
ভারত অবশ্য করোনাভাইরাস অতিমহামারীকে দায়ি করতেই পারে। বাংলাদেশে মে-জুন মাসে করোনাভাইরাস শীর্ষে পৌঁছেছিলো। আর ভারতের পিক শুরু হয়েছে কেবল এখন। সাড়ে ১৬ কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৬০০ জনেরও কম! আর ৮ গুন বেশি জনসংখ্যার ভারতে মৃতের সংখ্যা ২০ গুন বেশি।
ভারতের অর্থনীতির ১০.৮ শতাংশ খেয়ে ফেলেছে করোনা লকডাউন। যা বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাব্য ক্ষতির আড়াই শতাংশ বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ যেভাবে নিজের অর্থনীতিকে সামাল দিয়েছে, তাতে অভিভূত পশ্চিমা অর্থনীতিবীদরা। তারা বলছেন, লকডাউন হতে পারে ভারতের রাজনীতিবীদদের জন্য ঢাল। কিন্তু এটি শেষ কথা নয়। বাংলাদেশকে আটকে রাখা কারও পক্ষেই আর সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ পূর্ববর্তী এশিয়ান টাইগারদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আসলে ভালো করছে। বাংলাদেশ কম দক্ষতার রপ্তানিযোগ্য পণ্যকে ব্যবহার করে নিজেদের ভিত্তি মজবুত করেছে। এভাবে এগিয়েছে ভিয়েতনামও। কিন্তু তারাও বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়ছে। চীনও একই পদ্ধতিতে এগিয়েছিলো। তাই অর্থনীতিবীদরা বলছেন, ভারত নয়, বাংলাদেশই পরবর্তী চীন। - সূত্রঃ অনলাইন