ডিম খেয়েও কমানো যায় ওজন
প্রকাশের সময় : 2020-12-09 15:47:39 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের প্রসঙ্গ উঠলে তালিকায় সবার আগে উঠে আসে ডিম। কারণ এটি সহজেই রান্না করা যায়। এর পুষ্টিগুণও অসম্ভব। কিন্তু ওজন কমানোর ডায়েটে ডিমের ব্যবহার বা ডিম রান্না করার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই নানা ধরনের ভুল হয়ে যায়।
১. ডিমের কুসুম বাদঃ একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে, ডিমের কুসুমে প্রচুর অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। তাই অনেকেই ডায়েট থেকে ডিমের কুসুম বাদ দেওয়ার কথা ভাবেন। এটিতে কোলেস্টেরল রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সে জন্য খুব একটা প্রভাব পড়ে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, ভিটামিন ই২, ই১২, এর পাশাপাশি ফোলেট, ফসফেট, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্কসহ একাধিক উপাদান থাকে ডিমের কুসুমে। তাই ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীর ফিট রাখতে অত্যন্ত জরুরি ডিমের কুসুম। তাই ডিমের কুসুম বাদ দেওয়া যাবে না।
২. ডিম রান্না করতে সঠিক তেলের ব্যবহারঃ ডিম রান্না করতে গিয়ে নানা ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। কারণ দীর্ঘ দিন ধরে ভুল তেলের প্রয়োগে হার্ট অ্যাটাক বা হাই কোলেস্টেরলের সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নারকেল তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩. ডিমের পাশে যথাযথ খাবার রাখাটাও জরুরিঃ হেলদি ডায়েটের পাশাপাশি এ ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে পালং শাক, টম্যাটো, ক্যাপসিকাম, মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
৪. বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা ঠিক নয়ঃ ওভারকুকিং ঠিক নয়। এতে কিন্তু ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ডিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন ও নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ডিম বেশি উষ্ণতায় ফুটলে অক্সিটেরলস নামে একটি উপাদান উৎপন্ন হয়, যা হৃদযন্ত্রের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই ডিমকে অল্প আঁচে রান্না করাটাই শ্রেয়।
৫. ক্যালোরি কাউন্টে নজর দিতে হবেঃ যদি ওজন কমাতে হয়, তা হলে ডিম কী ভাবে খাচ্ছেন, সেই বিষয়ে নজর দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। তাই ডিমের পোচ বা ডিম সেদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত হয় না। আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও তেমন অসুবিধা হয় না। - সূত্রঃ অনলাইন