শেষের পথে পায়রা সেতু
প্রকাশের সময় : 2020-12-27 17:16:05 | প্রকাশক : Administration
সিমেক ডেস্কঃ দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বিশেষ প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে পায়রা সেতু। আশা করা যায়, আগামী জুনেই যানবাহন চলাচলের জন্য এ সেতু খুলে দেওয়া হবে। বরিশাল থেকে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে যেতে আর ফেরি ব্যবহার করতে হবে না। পায়রা বন্দর, কৃষি ও মৎস্যকেন্দ্রিক অর্থনীতিও গতি পাবে।
তবে সবই নির্ভর করছে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের পায়রা সেতুর কাজ শেষ হওয়ার ওপর। ইতিমধ্যে সেতুর ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ব্যবস্থা চালু হবে। এ সেতু নির্মাণের নকশা কিছুটা ব্যাতিক্রমধর্মী।
চার লেনবিশিষ্ট সেতুটি নির্মিত হচ্ছে এক্সট্রাডোজড কেব্ল-স্টেইড প্রযুক্তিতে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতুও এই প্রযুক্তিতে নির্মিত। ১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থ্যের সেতুটি কেব্ল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত থাকবে।
উভয় পাড়ে সাত কিলোমিটার জুড়ে নির্মাণ করা হবে সংযোগ সড়ক। নদীর মাঝখানে মাত্র একটি পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক থাকবে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। নদীর মধ্যে ৬৩০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৪টি স্প্যানের কাজ এগিয়ে চলছে।
এরই মধ্যে ৩৭০ মিটার স্প্যানের কাজ শেষ হয়েছে। দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক, টোল প্লাজা, ওজন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র স্থাপন এবং নদীশাসনের কাজও এগিয়ে চলছে। জলতল থেকে সেতুটি নদীর ১৮ দশমিক ৩০ মিটার উঁচু হবে। বাতি জ্বলবে সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে। -সূত্রঃ প্রথম আলো