করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর আশ্বাস

প্রকাশের সময় : 2021-01-07 11:38:13 | প্রকাশক : Administration
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর আশ্বাস

এম শাহজাহানঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে দাতাদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেছে। প্রথম ঢেউ সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলার কারণে দ্বিতীয় দফায় দাতাদের আশ্বাস মিলেছে খুব সহজে। খুব শীঘ্রই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা), ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। করোনার টিকা আমদানি, চিকিৎসার সরঞ্জামাদি কেনা, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বাজেট ব্যয় মেটাতে দাতাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হবে।

দাতা সংস্থার সঙ্গে আরও ৫০৮ কোটি ডলার ঋণচুক্তি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪৩ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। করোনার প্রথম ধাক্কা সামলাতে দাতাদের কাছ থেকে প্রায় ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বড় অংশ ইতোমধ্যে ছাড় হয়েছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা।

এই ধকল সামাল দিতে আবার নতুন করে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় করোনার টিকা আমদানি। দেশের প্রতিটি মানুষকে করোনার টিকা নিশ্চিত করতে হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে। নাগরিকদের এই টিকা দেয়া হবে বিনামূল্যে। এছাড়া প্রণোদনার আওতায় ২১ প্যাকেজে ১ লাখ ২০ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্যাকেজ ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৫ করা হতে পারে। প্যাকেজ বাড়লে টাকার পরিমাণও বাড়াতে হবে। করোনার টিকা আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে তা কেনার প্রস্তুতি রয়েছে সরকারের। প্রত্যেক ব্যাক্তিকে দুই ডোজ টিকা দিতে হবে। প্রত্যেক নাগরিকের জন্য খরচ হতে পারে ১০ থেকে ১২ ডলার। সবমিলিয়ে দেশের প্রায় ১৭ কোটি মানুষকে টিকা দিতে ২০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে।

করোনার টিকা কেনার জন্য ইতোপূর্বে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছে মোট ২৫০ কোটি ডলার ঋণ চাওয়া হয়। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫০ কোটি ডলার, এডিবির কাছে ৫০ কোটি ডলার, জাইকার কাছে ৫০ কোটি ডলার, এআইআইবির কাছে ৫০ কোটি ডলার, জার্মানির কাছে ২৫ কোটি এবং ফ্রান্সের কাছে ২৫ কোটি ডলার ঋণ চায় ইআরডি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, এআইআইবিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সঙ্গে ১৫৬ কোটি ডলার ঋণচুক্তি সই করেছে সরকার। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৩ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। প্রণোদনা প্যাকেজের পাশাপাশি চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটেও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিশেষ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

এর আওতায় করোনার টিকা আমদানি, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন এবং বাজেট ঘাটতি মেটানো হবে। চলতি বাজেটে বিদেশী সহায়তা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ হাজার কোটি টাকা যা, গত অর্থবছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। এই অর্থ সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও আইএমএফের সহায়তার ওপর। - সূত্রঃ অনলাইন

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com