একজন সাধারণ মানুষের লড়াইয়ের গল্প!
প্রকাশের সময় : 2021-03-03 13:52:10 | প্রকাশক : Administration
জুন ২০১৫, মোঃ আশিকুর রহমান, প্রাক্তন শিক্ষা প্রকল্প পরিচালকের ১৪ বছরের পেশা জীবনের ইতি টেনে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন যাত্রা শুরু করেন। একই বছর স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশিদারিত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেন বিদেশে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহীদের সহায়তা করার কাজ। সেই স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি দেড় বছর কাজ করার পর হতাশা ছাড়া কিছুই না পেয়ে শূন্য হাতে রাস্তায় নেমে আসেন।
নিজের আর তার পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত জেনেও সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা রেখে নতুন উদ্যমে আবারো নেমে পড়েন জীবন যুদ্ধে। সামাজিক মর্যাদা হারিয়ে কাছের মানুষের বঞ্চনা গঞ্জনা তাকে মানসিক যাতনা দেয় ঠিকই কিন্তু সে জানতো সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। কারণ, ইৎরঃরংয ঈড়ঁহপরষ এর তার শুরুটা হয় খণ্ড-কালীন চাকুরি দিয়ে আর শেষ নিজের অভিজ্ঞতার ঝুড়িতে দেশ এবং বিদেশের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি অর্জন নিয়ে। তার এমন অর্জনের পিছনে একমাত্র কাজ করেছে তার একাগ্রতা, নতুন কিছু শিখার আগ্রহ এবং ঘঅঞওঠঊ দের মতো ইংরেজিতে কথা বলা এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার আগ্রহ। একই চিন্তা এবং প্রয়াস এর সাহস নিয়ে ২০১৭ এর মার্চ মাসে শুরু করেন ইংরেজি ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝঅখঞ খধন – ঊহমষরংয ধহফ ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু। আগেই লিখেছি তিনি বেড়িয়ে আসেন শূন্য হাতে তাহলে এমন প্রতিষ্ঠান শুরু করার সাধন কোথায় পেলেন?
আমরা সবাই যখন নাই নাই কিছু নাই, আর কিছুই হবে না বলেই খালাস সেখানে তার কথা ইন-শা-আল্ল−াহ্ হবে, হতেই হবে। যদিও সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ অর্থ যোগানের অভাবে কিছু শুরু করতে না পারার যাতনা তাকে শুধু কষ্টই দিয়েছে। এই সময় তার সাহস জোগানোর এবং কষ্ট ভাগ করে নেয়ার আশ্রয়স্থল ছিল তার সহধর্মিণী। যে শুধু তার কাছের মানুষদের একটি কথাই বার বার বলেছে, যে শূন্য থেকে শুরু করে এতদূর পথ চলেছে, সে আবারো ঘুড়ে দাঁড়াবে এটা আমার বিশ্বাস।
জানুয়ারি ২০১৭, কোন এক অজানা শক্তির জোড়ে তার প্রাক্তন সহকর্মী মনজুর মামুন অংশিদারিত্বের হাত বাড়িয়ে দেন। মামুন জানতেন আশিক এর আর্থিক অবস্থা, মানসিক শক্তি প্রশ্নবিদ্ধ কারণ আর্থিক প্রতিকূলতার পাশাপাশি আগের ৪ মাসে আশিক তার আপন দুই সহোদরকে হারায় আর তার বাবা স্ট্রোক করেন (আল্লাহ্ অশেষ রহমতে তার বাবা এখন সুস্থ জীবন যাপন করছেন)। আশিকুর রহমানের অবস্থা তখন রেইস-এ হেরে যাওয়া ঘোড়ার মতো, যার আগের সব অর্জন এবং চাকচিক্য সবাই ভুলতে বসেছিলো।
তবুও মামুন, আশিকুর রহমানের উপর তার আস্থা রেখেই অর্থ যোগান দেন। আর মনজুর মামুন এর আস্থা এবং আশিকুর রহমানের স্বপ্নের ফসল ঝঅখঞ খধন – ঊহমষরংয ধহফ ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু এই দুই বছরে বাংলাদেশের ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় আগ্রহীদের কাছে আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
একজন হার না মানা এবং সাধারণ মানুষ এর গড়া প্রতিষ্ঠান ঝঅখঞ খধন, নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখানোর আর দৃঢ় প্রত্যয়ের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকবে বহুদিন ইনশাআল্লাহ। - সূত্র: অনলাইন