আগামী জুনে যানজট থেকে ‘মুক্তি’!
প্রকাশের সময় : 2021-06-24 11:38:18 | প্রকাশক : Administration
নিখিল ভদ্র: গণপরিবহনে দ্রুত ও সহজ যোগাযোগের জন্য রাজধানীতে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। ২০২২ সালের জুন মাসে গাজীপুর-বিমানবন্দর (ঢাকা) অংশের কাজ শেষ হবে। এই রুটটি চালু হলে সাড়ে ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সর্বোচ্চ আধাঘণ্টা সময় লাগবে, যা রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াতে দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে।
রাজধানীতে যানজট নিরসনে গাজীপুর থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত ৪২.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বিআরটি নির্মাণের কাজ চলছে। এর একটি অংশ গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত, যার দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। বিমানবন্দর থেকে কেরানীগঞ্জ পর্যন্ত অপর অংশের দৈর্ঘ্য ২২.৪ কিলোমিটার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষে সংরক্ষিত লেনের মাধ্যমে স্টেশন থেকে প্রতি তিন মিনিট পর পর ছেড়ে যাবে দ্রুতগতিসম্পন্ন অত্যাধুনিক বাস।
গাজীপুর থেকে কেরানীগঞ্জ যেতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টা। আর প্রতি ঘণ্টায় ৩০ হাজার যাত্রী পারাপার সম্ভব হবে। গাজীপুর-টঙ্গী- বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটি সড়ক নির্মাণে ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই বছরেই এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনা পরিস্থিতি ও ভূমি অধিগ্রহনসহ নানা কারণে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজে ধীরগতি ছিল। কমিটির পক্ষ থেকে যথাযথ মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। যাতায়াতের সময় কমে যাওয়ায় বাসের ট্রিপসংখ্যা বেড়ে যাবে। এতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের আয় বাড়বে। যাত্রীরা দ্রুততম সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছার ফলে কর্মদক্ষতা বেড়ে যাবে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিমানবন্দর-গাজীপুর সড়কের মাঝ বরাবর নির্মিত হচ্ছে বাস র্যাপিড ট্রানজিটের রুট। প্রকল্পে ৪.৫ কিলোমিটার এলিভেটেড ফ্লাইওভার ও সেতু থাকবে, যার মধ্যে ৩.৫ কিলোমিটার ছয় লেনবিশিষ্ট এবং এক কিলোমিটার দুই লেনবিশিষ্ট। এতে ছয়টি এলিভেটেড স্টেশন ও ১০ লেনবিশিষ্ট টঙ্গী সেতু থাকবে। ছয়টি উড়াল সড়ক ও আন্ডারপাস করা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় ১৬ কিলোমিটার অ্যাট গ্রেড ও সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড মেইন করিডর নির্মাণ করা হবে। মেইন করিডর সংলগ্ন ১১৩টি বা ৫৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়কের উন্নয়ন করা হবে। বিআরটি বাস ডিপোসহ বিভিন্ন স্থানে ২৫টি স্টপেজ থাকবে। জলজট নিরসনে প্রকল্পের আওতায় টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে।
টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত মোট ২৮ কিলোমিটার ড্রেন ও ১০টি কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ১৪০টি আর্টিকুলেটেড বাস ক্রয় করা হবে। এই রুটে ধীরগতির যানবাহন চলাচল করবে পৃথক লেনে। দ্রুতগতির যান চলাচলের জন্য সড়কের মাঝ বরাবর দুই লেন পৃথক করা হবে। সেখানে দ্রুত, নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থায় ঘণ্টায় ৪০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। -কালেরকন্ঠ