গলাচিপায় তরমুজের বাম্পার ফলন
প্রকাশের সময় : 2018-04-12 17:29:41 | প্রকাশক : Admin
সঞ্জিব দাসঃ পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আশা তরমুজের ট্রলার, ট্রাক, কাভার ভ্যান এবং বিভিন্ন মালবাহী গাড়ী হারিদেবপুর ফেরি ঘাটে আশে। গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর ফেরী ঘাট থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন দেশ-বিদেশে ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে তরমুজ ও মালামল সরবরাহ করে থাকেন। তার ভিতরে হলো শুষ্ক মৌসুমের প্রধান ফসল তরমুজ। এ তরমুজ ফলাতে কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়।
গলাচিপা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মান্নান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছরে চার হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছে কৃষকেরা । আমাদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ভাবে টেকনোলজি ও কিটনাশক প্রয়োগ করার প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এবং এবছরে ব্যায় অনুযায়ী আয় হবে খুব বেশি। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে।
রাঙ্গাবালি উপজেলা বাহের চর গ্রামের ০১নং ওয়ার্ডের তরমুজ চাষি মোঃ মাহাসিন মৃধার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, আমরা রাঙ্গাবালী উপজেলার সাধারণ কৃষকেরা তরমুজ চাষ করে এবং বিক্রয় করে সাবলম্বি হয়েছি। আমার তিন কানি জমিতে ছয় থেকে আট লক্ষ টাকা বিক্রয় করেছি।
এ বছরে বাম্পার ফলন পেয়েছি। কোড়ালিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি মোঃ জিবন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবছরে আমরা কোড়ালিয়াবাসি এই তরমুজের বাম্পার ফলন পেয়েছি।
হরিদেবপুর ঘাট শ্রমিক সরদার মোঃ নেয়াল খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ শুকনো মৌসুমে আমার দুই শত শ্রমিক এ ঘাটে তরমুজের ট্রলার লোড আনলোড করে। দৈনিক কাজের মজুরি জন প্রতি আটশত থেকে এক হাজার টাকা আয় করে। এতে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।
গলাচিপা থানা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাহিদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে, হরিদেবপুর ফেরি ঘাট, বাসষ্ট্যান্ড এ পয়েন্টে আমাদের থানার ফোর্স ডিউটি অবস্থায় থাকে। যাহাতে ব্যবসায় কোন ধরনের সমস্য না হয়। এ ব্যাপারে আমরা সব সময় সতর্ক থাকি।
নওগা জেলার তরমুজের ব্যাপারি মোঃ শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ শুষ্ক মৌসুমে তরমুজের সিজনে পঞ্চাশ থেকে সত্তর লক্ষ টাকা নিয়ে হরিদেবপুর ফেরি ঘাটে কোন রকম সমস্যায় পড়তে হয় না। আমরা হরিদেবপুর ফেরি ঘাটের যে কোন ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে তরমুজ ক্রয় করি। এতে করে আমাদের কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় না। -সূত্র: অনলাইন