জোকস্
প্রকাশের সময় : 2021-08-25 15:51:11 | প্রকাশক : Administration
সংগ্রহে: ফেরদৌস আলম
কানের লতি কখন পড়বে:
সেলুনে চুল কাটাতে গেছেন এক ভদ্রলোক। নাপিত কাঁচি চালাতে শুরু করলে তিনি দেখতে পেলেন পায়ের কাছে একটা কুকুর চুপচাপ বসে আছে।
ভদ্রলোক: কুকুরটা নিশ্চয়ই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কেমন শান্ত হয়ে বসে আছে।
নাপিত: ওটা প্রতিদিনই ওখানে বসে থাকে। কানের লতি কখন পড়বে, সেই আশায়।
জীবনে এক ভুলই দ্বিতীয়বার:
এক বৃদ্ধকে তার নাতি বলল, ‘দাদু অনেক দিন তো বাঁচলেন। অনেক কিছু দেখলেন, করলেন, শিখলেন। এখন আপনাকে যদি আবার শুরু থেকে জীবন শুরু করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে এ যাবৎ যে ভুলগুলো করেছেন; সেগুলো কি আবার করবেন? দাদু বললেন, ‘নিশ্চয়ই, তবে সে ভুলগুলোই আগে থেকে শুরু করব।’
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কী করবেন:
জামিল প্রায়ই তার ল্যাপটপের পাসওয়ার্ড ভুলে যান। তাই বস বললেন, ‘পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পারেন না, তাহলে দেওয়ার দরকার কী?’ তবু তিনি পাসওয়ার্ড দেবেনই। তারপর বস তাকে বললেন, ‘একটা ছোট ডায়েরিতে পাসওয়ার্ডটা লিখে রাখুন।’
বুদ্ধিটা তার বেশ পছন্দ হলো। পরদিন তিনি আবার পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেন। তাকে ডায়েরির কথা মনে করিয়ে দিতেই করুণ মুখে বললেন, ‘যে ডায়েরিতে পাসওয়ার্ডটা লিখেছি, সেটা আনতে ভুলে গেছি।’
খরগোশ-অজগরের কথোপোকথন:
এক রাতে পথ চলতে গিয়ে ধাক্কা খেল অন্ধ খরগোশ আর অন্ধ অজগর। খরগোশের শরীর স্পর্শ করে অজগর বলল, ‘নরম, কোমল লোম গায়ে, লম্বা কান... খরগোশ না-কি?’
খরগোশ এবার অজগরের শরীর স্পর্শ করে বলল, ‘ঠান্ডা ও পিচ্ছিল শরীর, একটাও কান নেই... সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার না-কি?’
লাইব্রেরি কয়টায় খোলে:
মাঝরাতে পাবলিক লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ানের কাছে ফোন এলো
লোক: হ্যালো, লাইব্রেরি কয়টায় খোলে?
লাইব্রেরিয়ান: আপনি কি এই কথা জানার জন্য আমাকে এত রাতে ফোন করলেন?
লোক: আহা! বলুন না লাইব্রেরি কয়টায় খোলে?
লাইব্রেরিয়ান: সকাল নয়টায়
লোক: তার আগে খুলবে না?
লাইব্রেরিয়ান: না।
লোক: কোনোভাবেই খুলবে না?
লাইব্রেরিয়ান: না... কেন, কি করবেন এত সকালে লাইব্রেরিতে এসে?
লোক: আমি আসব না, আমিতো বের হব!
৮.৪
নদীর বুকে ঝলসানো মুখ
তাসলিমা রফিক
নদীর বুকে ঝলসানো মুখ
বাঁকা চাঁদ তুমি
সহস্র ঢেউয়ের মাঝে ষোড়শ প্রেমের
প্রবিষ্ট অপূর্ব চাহনী-
শুধু সে মনোহর নয়নের মতো
ঢাকা পড়ে উন্মুক্ত তরঙ্গের মাঝে
আর হারিয়ে যায় সে-
ঊর্মির পাশবিক আঘাতে।
পূর্ণিমার সৌন্দর্যমন্ডিত রাতে
শুধুই চেয়ে থাকি অসীমের পানে
হয়তো অনাকাঙ্খিত কোন সংশয় জাগে মনে
আর অস্থায়ী মন ভেসে চলে
দূর নীলিমার প্রান্ত ছুঁয়ে মেঘরাশির মতো
পেছনে পড়ে থাকা অতীত স্মৃতি
আর কাঙ্গাল প্রেমের পান্ডুলিপি।
তারাদের ছুঁয়ে থাকা মেঘভেলা
ভেসে চলে অসীম থেকে অসীমে
মোহগ্রস্থ নগণ্য বাস্তবে
দুর্বোদ্ধ বিষাদমান আগমন তার
আর ছিঁড়ে গেছে আলেখ্য দ্বার।
সলিল সমাধি নীড়ে জাগিয়াছে সে
যৌবনে বর্ষার ঢল নামে অজ্ঞাতসারে
আর দ্যুতি ছড়ায় তীব্র বিদিত হারে।
নদীর বুকে ঝলসানো মুখ
বাঁকা চাঁদ তুমি-
সহস্র ঢেউয়ের মাঝে ষোড়শ প্রেমের
প্রবিষ্ট অপূর্ব চাহনী।