ইঞ্জিঃ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম
শেষ চাহনি নাকি ফিরে আসা!
চোখ দুটিতে গড়ায় পানি,
কি কষ্ট পাব সে কি আমি জানি?
বুকের ভেতর ভাংচুর শুরু,
আই, সি, ইউ এর ভিতরটা কেমন জানি সরু।
এই সরুই হতে পারে সাড়ে তিন হাত মাপের সুড়ঙ্গ,
যেখানে শুয়ে থাকবে প্রাণ ছাড়া অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।
আল্লাহর কাছে চাই শুধুই ক্ষমা,
এতো কষ্ট আল্লাহ আর কাউকে দিও না।
এটাই কি শেষ বিদায় নাকি ঘরে ফিরার আশ্বস্ত,
দ্বিধা দ্বন্দ মনে চোখের কোণে আসে জল লবণাক্ত।
শেষ চাহনিটায় ছিল কত কথা জমা,
বলা হয়নি কিছু নিয়তির ম্যাপে সবই ছিল মানা।
সুসংবাদের অপেক্ষায় রাতের ঘুম হারাম,
আল্লাহ আমাদেরকে তুমি ধৈর্য করুন দান।
আর কি তবে দেখা হবে না ফিরে,
আর কি হবে না ফিরে আসা আপন নীড়ে?
বুকের মাঝে করছে ভাংচুর,
সত্যিই কি যাচ্ছো তুমি বহুদূর।
গুরুজন হয়ে ছিলেন বটগাছ,
আমাদের গায়ে পরতো না কোন আঁচ।
সমাজে সবার সীমাহীন দোয়া,
আল্লাহ না চাইলে কিছুই হবে না।
কতক্ষণ আর কান্না আটকে রাখি,
ছাড়তে বসেছেন তিনি এই ধরণী।
শেষ একটি চাওয়া আল্লাহর কাছে,
মাফ করুন খোদা ভিক্ষা দিন জীবন,
স্বপ্ন দেখিও না মিছে।
চলে যাওয়া!
হাজার বছরের চির চেনা নিয়ম এটা,
মানতে তবু কষ্ট হয় যখন হারিয়ে যায়
প্রাণের প্রিয় মানুষটা।
মৃত্তিকার অতল গহ্বরে শুয়ে থাকে সোনার দেহখানি,
সে এক নিশ্চুপ কান্না, শূন্যতার হাতছানি।
হাহাকারে কাঁদে অন্তর আত্মা,
জীবনে আর কখনো যে দেখা হবে না।
ধরিত্রীর বুকে বিধাতার কঠিন পরীক্ষায় যদি করি পাশ,
পরকালে দেখা মিলবে জান্নাতে বসবাস।
চলে গেলে এত দূরে এতটাই দূরে,
তোমার মায়ার বাঁধনে চক্ষু ছলছল করে।
মানতে পারিনা তোমার এভাবে চলে যাওয়া,
হয়নি দেখা তোমার শেষ সময়ের কতনা কষ্ট পাওয়া।
দু'হাতে তোমাকে রেখেছি মাটির ঘরে,
জানিনা কতইনা কষ্ট হচ্ছে তোমার রোদ বৃষ্টি ঝরে।
যে দুই হাতে করেছি আদর,
সেই দুই হাতেই দিয়েছি কবর।
শান্তনার কোন বাক্য আমার নেই জানা,
কিভাবে পাড়ি দিব শত পথ অজানা।
নেতৃত্বে ছিলে তুমিই বলিয়ান,
আর কি হবে কেউ তোমার সমান।
খোদার কাছে চাইব শুধু তুমি ভালো থেকো,
তোমার স্মৃতি রাখবো ধরে মুছতে পারবে না কেহ।