স্বপ্নের প্রজেক্ট; থার্ড টার্মিনাল

প্রকাশের সময় : 2021-10-06 14:56:17 | প্রকাশক : Administration
স্বপ্নের প্রজেক্ট; থার্ড টার্মিনাল

আজাদ সুলায়মান: বেজমেন্টের ছাদ হয়ে গেছে। প্রথম তলার পিলারগুলোও তর তর করে উঠে যাচ্ছে। প্রথম তলার ছাদের একাংশও হয়ে গেছে। এলিভেটেড ওয়ের পিলারও দাঁড়িয়ে গেছে। ওদিকে এয়ারসাইটে চলছে ট্যাক্সিওয়ে ও এপ্রোনের কাজ। সঙ্গে কালভার্ট ও ড্রেনেজের কাজ। সুবিশাল লং বুম সাজানো সারি সারি। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এভাবেই চলছে দিবারাত্রি।

খিলক্ষেত থেকে উত্তর দিকে যেতেই মহাসড়কের লাগোয়া পশ্চিমে চোখে পড়ে ওই বিশাল কর্মযজ্ঞ। দেখলে মনে হয় যেন দ্রুত পূর্ণ হতে যাচ্ছে এক স্বপ্নের এয়ারপোর্ট। এরই মধ্যে কাজ শেষ হয়ে গেছে টাউনসাইটে ২২ শতাংশ আর বাউন্ডারির আড়ালে এয়ারসাইটে ৩০ শতাংশ। মূল টার্মিনাল ভবনের ৬৮৬টি কলামের মধ্যে ৬৫০টির কাজই সম্পন্ন করা হয়েছে। কঠিন ও সময় সাপেক্ষের সব কাজই সমাপ্তির পথে। এখন দ্রুত ওঠে যাবে বাকি কাজ।

তিন তলা ভবনের প্রথম তলার পুরো ছাদই দৃশ্যমান হবে আগামী ডিসেম্বরে। শত শত শ্রমিক, দেশী-বিদেশী প্রকৌশলী, বিশেষজ্ঞ ও কর্তাদের ঘর্মাক্ত শরীর। করোনার ভয়? সে তো উপেক্ষা শুরু থেকেই। সব ধরণের ভয়ভীতি উপেক্ষা করেই তারা পালন করছেন দেশ গড়ার এই পবিত্র দায়িত্ব। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তারা খেটে চলছেন ইতিহাস গড়ার অংশীদার হতে। দেশের তো বটেই- এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম অত্যাধুনিক ও সুবিশাল এয়ারপোর্ট।

২ লাখ ৬০ হাজার মিটার আয়তনের এই বিমানবন্দরের প্রতিটি ধাপেই চলছে সুনিপুণ কর্মকৌশল। অত্যাধুনিক স্থাপত্যরীতিতে গড়ে উঠছে থার্ড টার্মিনাল। কৃত্রিম বুদ্ধিভিত্তিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে এ বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের যে কোন পয়েন্টে বিন্দুমাত্র ত্রুটি দেখা দিলে মুহূর্তেই সে সিগন্যাল চলে যাবে সেন্ট্রাল ডাটা ব্যাংকে-যেখান থেকে মুহূর্তেই সেটার সমাধান দেয়া যাবে।

এ বিমানবন্দর ঘিরে মানুষেরও কৌতুহলের শেষ নেই। দৃষ্টিনন্দন তো বটেই, মন জুড়িয়ে যাওয়ার মতো নৈসর্গিক দৃশ্য সম্বলিত বেশ কিছু স্থাপনা থাকছে এখানকার প্রবেশপথে। নিকুঞ্জের পয়েন্ট থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ওপরে দোতলায় ওঠে আবার উত্তর দিকে আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে নির্বিঘ্নে -নিরাপদে বের হয়ে যাবার সুগম পথ থাকছে।

দেড় হাজার শ্রমিক। অর্ধশত ক্রেন। সমসংখ্যক রিগার। ট্রাক আসছে দিবারাত্রি। চৌহদ্দি জুড়ে সার্বক্ষণিক খটর খট শব্দ। হাইভোল্টেজের বাতি রাতের অন্ধকারের বুক চিড়ে আলোর দ্যুতি ছড়ায় চারদিকে। দূর দিগন্ত থেকেও বুঝা যায়- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণ যজ্ঞ। প্রথম দফায় শেষ করা হবে টার্মিনাল, তারপর ধাপে ধাপে কার্গো, ট্যাক্সিওয়ে, ফ্লাইং ক্লাব, কানেক্টিং রোডসহ অন্যান্য স্থাপনা।

৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ প্রকল্পে থাকছে ৩৭টি উড়োজাহাজ রাখার এ্যাপ্রোন ও ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি রাখার সুবিধা, ৬৩ হাজার বর্গফুট জায়গায় আমদানি-রফতানি কার্গো কমপ্লেক্স, ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার। সব মিলিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিমান বন্দরের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকবে থার্ড টার্মিনালে। এটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরের সারিতে নাম লেখাবে শাহজালাল।

প্রায় সাড়ে তিন শ’ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে থার্ড টার্মিনালের গোটা প্রকল্প। এই বিমানবন্দর বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে একটি হবে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকাংশেই কমবে। পাশাপাশি এ বিমানবন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

সম্পাদক ও প্রকাশক: সরদার মোঃ শাহীন
উপদেষ্টা সম্পাদক: রফিকুল ইসলাম সুজন
বার্তা সম্পাদক: ফোয়ারা ইয়াছমিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: আবু মুসা
সহ: সম্পাদক: মোঃ শামছুজ্জামান

প্রকাশক কর্তৃক সিমেক ফাউন্ডেশন এর পক্ষে
বিএস প্রিন্টিং প্রেস, ৫২/২ টয়েনবি সার্কুলার রোড,
ওয়ারী, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০ হতে প্রকাশিত।

বানিজ্যিক অফিস: ৫৫, শোনিম টাওয়ার,
শাহ মখ্দুম এ্যাভিনিউ, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
বার্তা বিভাগ: বাড়ি # ৩৩, রোড # ১৫, সেক্টর # ১২, উত্তরা, ঢাকা।
ফোন: ০১৮৯৬০৫৭৯৯৯
Email: simecnews@gmail.com