ইউটিউব ফেসবুকের জমজমাট ব্যবসা
প্রকাশের সময় : 2021-10-21 10:57:03 | প্রকাশক : Administration
বাংলাদেশকে ঘিরে ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইক শেয়ারের জমজমাট ব্যবসা চলছে। দেশ ও বিদেশ থেকে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ভিডিও-অডিও তৈরি করে ছোট ছোট অনুষ্ঠান বানিয়ে আপলোড করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এসব কনটেন্টে যত বেশি লাইক, শেয়ার তত বেশি ডলার আয়। এ লক্ষ্য সামনে রেখে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী নানা কনটেন্ট আপলোড হচ্ছে ফেসবুক ও ইউটিউবে।
বর্তমানে ব্যাপক হারে এ কারবারের বিকাশ ঘটলেও এর নিয়ন্ত্রণ নেই কারও হাতেই। যার যা মনে আসছে তা-ই ভিডিও বা অডিও আকারে তুলে দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সমাজবিজ্ঞানী ও অপরাধ বিশ্লে−ষকদের মতে এসব ন্যাশনাল ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম। এভাবে চলতে থাকলে সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দেবে। দুই বছর ধরে ফেসবুক-ইউটিউবার চক্রের কারণে সমাজে নারী ও শিশুরা বিপদগ্রস্ত হচ্ছে।
অনেক নারী এসব চক্রের মাধ্যমে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে গেছেন। অনেক ক্ষেত্রে গ্রামের নিরীহ মেয়েদের ভিডিও গোপনে ধারণ করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেলও করা হয়েছে বহু নারী ও কিশোরীকে। এমনকি স্কুল-কলেজের ছাত্রীরাও এসব থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
ইউটিউব-ফেসবুকের জন্য ভিডিও তৈরি করার চক্রের সদস্যরা একটি ক্যামেরা ও এডিটিং প্যানেল নিয়ে ছোট্ট অফিস খুলছে। দেশ-বিদেশে সিন্ডিকেট গড়ে তারা সরকার বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত। এতে লাইক শেয়ার ব্যবসার পাশাপাশি সরকার বিরোধী চক্রের কাছ থেকেও নিচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। এসব বন্ধে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা।
কিন্তু তারা কেউই এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ মন্ত্রণালয় দোষ চাপাচ্ছে ওই মন্ত্রণালয়ের ওপর। ফলে এসব অবৈধ কার্যক্রমের প্রসার ঘটেই চলেছে। এতে একদিকে দেশ-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, অন্যদিকে নোংরা অশ্লীল ভিডিওর কারণে অনেক নারী ও কিশোরী আত্মহত্যার পথ বেছে নিতেও বাধ্য হচ্ছে। বিভিন্ন জনকে ট্রল করা, হুমকি দেওয়া, সাইকোলজিক্যাল বুলিংয়ের মতো ফৌজদারি অপরাধেও ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
অবস্থা পর্যবেক্ষণে দেখা যায় ফেসবুক-ইউটিউবে ভিডিও ছড়িয়ে বঙ্গবন্ধু পরিবার, সরকার, বিচার বিভাগ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও দেশের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। কোনো ধরনের জবাবদিহি না থাকায় বেপরোয়াভাবেই চলে আসছে এসব কার্যক্রম। অনেক ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধি, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন।
ফেসবুক-ইউটিউবের মাধ্যমে এখন ভুঁইফোড় বহু পন্ডিতের জন্ম হয়েছে। ফেসবুক-ইউটিউবে সরকার বিরোধী প্রচারণার পাশাপাশি অনেক অ্যাডাল্ট কনটেন্ট আপলোড করা হয়। এসব অডিও শুনে ও ভিডিও দেখে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিভ্রান্তির পাশাপাশি নানা নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হচ্ছে।