পায়রাতেও হবে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল
প্রকাশের সময় : 2021-10-21 11:32:59 | প্রকাশক : Administration
সঞ্চিতা সীতু: গ্যাস সংকট কাটাতে মহেশখালীর পর এবার পায়রাতেও ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সব মিলিয়ে প্রতিদিন এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির জন্য দুটি টার্মিনাল বানানো হবে। রাষ্ট্রীয় কোম্পানি নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি (এনডব্লি−উপিজিসিএল) এবং বেসরকারি কোম্পানি সামিট পাওয়ার এলএনজি টার্মিনাল দুটি নির্মাণ করবে।
ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল দুটির ক্ষমতা হবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। পটুয়াখালী থেকে একটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হবে। খুলনা পর্যন্ত নির্মিত পাইপলাইনটি জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে এলএনজি টার্মিনাল দুটিকে সংযুক্ত করবে। এতে করে দক্ষিণ পশ্চিমের জেলাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ সহজ হবে। বিদ্যুত জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনে টার্মিনাল দুটি বানানো হবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে গ্যাসের ঘাটতি প্রকট আকার নেবে। এখনই উদ্যোগ না নিলে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। এজন্য নতুন করে আবারও এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ঘাটতি শুরুর আগেই প্রকল্প দুটির কাজ শেষ হবে। পায়রাতে তাদের ৩৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রটি আমদানি করা গ্যাস দিয়ে চালানো হবে।
এর বাইরেও কোম্পানিটি খুলনায় একটি ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসচালিত বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এনডব্লিউপিজিসিএল-এর চাহিদা মিটিয়ে বাকি গ্যাস তারা পেট্রোবাংলার কাছে বিক্রি করবে। অন্যদিকে সামিটের টার্মিনালের পুরো গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা হবে।
পায়রাতে নাব্যতা সংকটের কারণে বন্দরের আশেপাশে টার্মিনাল নির্মাণ করা সম্ভব নয়। বন্দর জেটি থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে সাগরের মাঝে থাকবে টার্মিনাল দুটি। সেখান থেকে সাগরের মাঝে পাইপলাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। বর্তমানে মহেশখালীতে দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে।
প্রতিটি টার্মিনালে এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তরের ক্ষমতা রয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। সর্বোচ্চ ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত এলএনজি সরবরাহ করা হয়েছে। গত ১৮-১৯ আগস্ট দেশে এলএনজি সরবরাহ হয়েছে ৭১১ মিলিয়ন ঘনফুট। ওই সময়ে দেশীয় গ্যাস সরবরাহ হয়েছে ১৫৬৩ মিলিয়ন ঘনফুট। মহেশখালীতে সামিট ও এক্সিলারেট এনার্জির একটি টার্মিনাল আছে।